নিউজ ডেক্স
- ৭ আগস্ট, ২০২৫ / ৩২ বার পঠিত

আমির ফয়সাল,জাবি প্রতিনিধি:
আঞ্চলিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রকৌশল ভূতত্ত্ব ও পরিবেশ সংস্থা – বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রুপ (IAEG_BNG) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে নেপালী ভূতাত্ত্বিকদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈজ্ঞানিক বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেপাল ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ, নবীন পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং “যুবসমাজ, সহযোগিতা এবং প্রকৌশল ভূতত্ত্বের ভবিষ্যত” শীর্ষক আলোচনায় যুক্ত হন।
নেপালী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন IAEG-এর এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ARC-১৫ এর যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রঞ্জন কুমার দাহাল এবং সম্মেলনের সেক্রেটারি সমন্বয়কারী ডা. মনিতা তিমিলসিনা। তারা ARC-১৫ এর লক্ষ্য, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ডা. দাহাল হিমালয় অঞ্চলের ভূ-হুমকির বিষয়ে কারিগরি উপস্থাপনা দেন এবং ভূমিকম্প ও ভূমিধস মোকাবেলায় অঞ্চলভিত্তিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
ডা. মনিতা তিমিলসিনা বাংলাদেশি ভূতাত্ত্বিকদের কাঠমান্ডু সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিহাহ আহমেদ ও মোঃ সাফিকুল ইসলাম সানী, যারা যুব সমাজকে গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে উৎসাহ দেন। IAEG_BNG এর পক্ষে প্রফেসর ডা. এটিএম শাখাওয়াত হোসাইন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভূ-গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ভূ-অংশগ্রহণের উপর আলোকপাত করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. এইচ.এম. সায়েম নেপালী প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে আঞ্চলিক সংহতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় যৌথ গবেষণা, যুব নেতৃত্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন, অর্থায়ন কৌশল এবং বাংলাদেশে প্রি-এআরসি-১৫ পরবর্তী মাঠ সফর নিয়ে আলোচনা হয়। এই সফরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ডা. হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মিঃ আসমাউল মিয়াদ বাংলাদেশের তরুণ গবেষকদের প্রকৌশল ভূতত্ত্বভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপন করেন। তিনি উদ্ভাবনী শক্তিকে বাস্তব সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের আহ্বান জানান।
সবশেষে নেপালী অতিথিদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় এবং মিলিত ছবি তোলা হয়, যা বাংলাদেশ-নেপালের বৈজ্ঞানিক বন্ধুত্বের স্মারক হয়ে থাকবে।
এই প্রি-এআরসি-১৫ বৈজ্ঞানিক বিনিময় কার্যক্রমকে দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক গবেষণা সহযোগিতা, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং যুব নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।