বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
কুয়েট প্রতিনিধিঃ
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (রবিবার) – খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) তার বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদা লাভের ২২তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বিভিন্ন আয়োজনে ভরপুর এক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে।
সকালে প্রশাসনিক ভবনের চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দিনটির সূচনা হয়। এরপর একটি মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে, যা অডিটোরিয়ামে পৌঁছে।
অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় “কুয়েটের অর্জন, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ” শীর্ষক প্রেজেন্টেশন ও আলোচনা সভা, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির নানা ক্ষেত্রের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, এবং উদ্বোধনী বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন LGED’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অব.) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী সেশন শেষে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাগার ও ল্যাব উন্মুক্ত করা হয়, যাতে সাধারণ দর্শনার্থীরা ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি উন্নত কর্মকাণ্ডের সাথে পরিচিত হন।
বিকেলে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রদের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে যেখানে শিক্ষক দল ২-১ গোলে ছাত্রদের দলকে পরাজিত করে। এরপর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আসর দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়। সন্ধ্যায় অডিটোরিয়ামে একটি সংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা দিনটির উদযাপনের জমাটিলতা বজায় রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, “কুয়েটের সম্মান রক্ষা, এর বিকাশ ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। কুয়েট বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী‑সহ সকলের অসীম অবদানের মাধ্যমেই আমরা এ পর্যন্ত পৌঁছেছি। এই অবদানকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে আমরা আরও এগিয়ে যাব এবং দেশের সেবা করে যাব।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়ার পর থেকে কুয়েট জ্ঞান, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের একটি রোল মডেল হয়ে উঠছে। আমাদের অনেক অ্যালামনাই দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন; আমরা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বিশ্বেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।”
উল্লেখ্য, কুয়েট ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে শুরু হয়, যা ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি)–তে রূপান্তরিত হয়। পরিশেষে ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩- এ পুরোদমে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয় – ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়'(কুয়েট) নামে এ বছর ২২তম বার্ষিকী উদযাপন করা হলো।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩