নিউজ ডেক্স
- ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ / ৪০ বার পঠিত

মো:জিসান রহমান,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক বছর মেয়াদি এই কমিটির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মো: তৌকির আহমেদ।
নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অভিষেক চৌধুরী সজীব এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের মো: কামাল মিয়া।
কমিটির অন্যান্য পদাধিকারীরা হলেন—সহ-সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: রাজিবুল হাসান ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ইনান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শুভ ও সিফাত আল হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, উপ-কোষাধ্যক্ষ সুমনাত জাহান অর্ণি, দপ্তর সম্পাদক সামসুদ্দিন হাবিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: ইমরান হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফ কেশবনন্দ মিয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানজিলা আক্তার তুবা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাদিয়া আক্তার, উপ-সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাসনিম খান অরোমী, গণযোগাযোগ সম্পাদক জিসান রহমান, উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক নোমান হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিফাত এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ তৌফিক আজাদ।
এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাকিব হাসান, সাদিয়া আক্তার, মীর মাহফুজ্জামান রহমান, রাফি আহমেদ রাফি, জুমাই মিয়া, মো: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, ইসরাত জাহান নীলা, মো: তাহমিদ হাসান, মো: আল শাহরিয়ার ইনান, মলি রানী রায় ও আনি খান।
নতুন কমিটির সভাপতি অভিষেক চৌধুরী সজীব বলেন,
“শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের পক্ষ থেকে আমি সভাপতি হিসেবে জানাতে চাই যে আমরা নিয়মিতভাবে পাঠচক্র আয়োজন করব, যেখানে মানসম্মত বই পর্যালোচনা, সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা, সমালোচনামূলক চিন্তার বিকাশ ঘটানো এবং জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করা। পাশাপাশি গবেষণা উদ্যোগ, মুক্ত আলোচনা এবং দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীল, দায়িত্বশীল ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকব।”
নতুন সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল মিয়া বলেন,
“আসসালামু আলাইকুম। ‘সত্য জানি, সত্য জানাই’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু। জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন বই পড়া ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক মহৎ ব্রত গ্রহণ করেছে।
শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের মূল কার্যক্রম হলো নিয়মিত পাঠচক্রের আয়োজন, বই পড়া ও আলোচনার মাধ্যমে সদস্যদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করা, মুক্তচিন্তা ও গবেষণাধর্মী আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা। এই সংগঠনের মাধ্যমে সদস্যরা যেমন সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে, তেমনি আলোকিত মননের বিকাশেও এগিয়ে যাবে।
সংগঠনে যোগদানের মূল কারণ হলো—এখানে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে, সহপাঠীদের সঙ্গে মেধা ও মননের উন্নয়নে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়। শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র কেবল একটি পাঠচক্র নয়, বরং প্রজন্মকে আলোকিত করার এক ক্ষুদ্র উদ্যোগ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে আমরা চাই—শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রকে শুধু বই পড়ার সংগঠন না রেখে একটি সৃজনশীল ও আলোকিত পাঠচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। যেখানে বই পড়ার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে একটি প্রগতিশীল প্রজন্ম তৈরি হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই সংগঠনকে এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া, যেখানে তরুণরা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে সমাজকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারবে।”