রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন
মো পারভেজ সেখ, বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুরবৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শককে শাড়ি ও চুড়ি উপহার দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২০জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ব্যতিক্রমি আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শকের চেয়ারে শাড়ি জড়িয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের “ক্যাম্পাসে রাজনীতি চলে, প্রশাসন শাড়ি পড়ে!”“লেজুড়ের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না।”“শিক্ষা ও সন্ত্রাস একসাথে চলে না।”“আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে নোংরা রাজনীতি চলবে না।”“প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তবে সরে দাঁড়ান।”সহ নানান স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, “প্রশাসন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কিছু সংগঠন। এতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা চাইনা দ্বিতীয় আবু সাঈদ এখানে মৃত্যুবরণ করুক। অবিলম্বে আমাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আমরা পূর্বে দেখেছি ছাত্রলীগ কিভাবে হলের সিট দখল, রযাগিং ও গেস্টরুম কালচার পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। তাই আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে শাড়ি ও চুড়ি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছি। প্রশাসনকে স্পষ্ট বলতে চাই, দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুন।”
শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, “এই নোংরা রাজনীতির কারণেই আমরা সাঈদকে হারিয়েছি। প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আবারও সেই রাজনীতি ফিরে আসছে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—ছাত্র সংসদ ছাড়া আর কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে আমরা মাঠে নামব।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
এরপরও, গত ৯ জুলাই ইসলামিক ছাত্রশিবিরের বেরোবি শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়, যেখানে মো. সুমন সরকার সভাপতি ও আব্দুর রাকিব মুরাদ সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
এছাড়া, ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বহিরাঙ্গন পরিচালক ড. মো. ফেরদৌস রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে একটি খেলার উদ্বোধন করেন এবং ২০ জুলাই বেরোবি ছাত্রদলের ব্যানারে সদস্য সংগ্রহ ও কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একজন সিন্ডিকেট সদস্য হয়ে যিনি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন, তিনিই কীভাবে ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন? এটি তো আইন ও নীতিকে উপহাস করার সামিল।”
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩