বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে ছাত্রীদের হলে ফার্স্ট এইড সামগ্রী বিতরণ কালাইয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান বরিশাল নগরে ববি শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার ও মারধর আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জয়পুরহাটের কালাইয়ে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা চৌদ্দগ্রামে গোপালনগর মহিলা মাদ্রাসার নবীন বরণ ও মা সমাবেশে অনুষ্ঠিত ছাতিমের বুনো সৌরভে মুখরিত ববি ক্যম্পাস মাঠে গড়াল কুবি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ কুড়িগ্রামে একসাথে ২২ জন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ইলিশর রক্ষায় ১৫ জেলের কারাদন্ড ও জাল জব্দ শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কালাইয়ে মানববন্ধন খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ রংপুরসহ আট বিভাগকে প্রদেশ ঘোষণার দাবি কুকসু’র গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সময়সীমা বাড়লো আরও ১০ কার্যদিবস চৌদ্দগ্রামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় শিক্ষক নেতার বিদায় অনুষ্ঠানে যায়নি আমন্ত্রিত অতিথি কিশোর গ্যাং লিডার ও জুয়াড়ি মিলন গ্রেপ্তার

অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার

আবু তাহের, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার—যেখানে প্রতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরি, ফুলেল শ্রদ্ধা ও নানা আয়োজনে মুখর থাকে ক্যাম্পাস, সেখানে বছরের বাকিটা সময় শহীদ মিনার পড়ে থাকে নীরব অবহেলায়।

ক্যাম্পাসে সামান্য বৃষ্টিতেই শহীদ মিনারের আশপাশে জমে যায় পানি। অনেক সময় এই জলাবদ্ধতা কয়েকদিন স্থায়ী হয়, ফলে শ্রদ্ধা নিবেদন বা সাধারণ ঘোরাঘুরি—দুটোই হয়ে ওঠে কষ্টকর। শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা বছর বছর একইভাবে রয়ে যাচ্ছে।

শহীদ মিনারের চারপাশে জমে থাকা শুকনো পাতা, আবর্জনা ও ধুলাবালি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। অনেক সময় বাতাসে উড়ে আসা প্লাস্টিকের বোতল বা খাবারের প্যাকেটও পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে স্মৃতিস্তম্ভটির নান্দনিকতা নষ্ট হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, অতি দ্রুত শহিদ মিনারকে আলোকিত করার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করা হোক এবং শহিদ মিনারকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হোক।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জামান লেলিন বলেন, শহিদ মিনার একটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, অথচ এটিকে চরম অবহেলার মধ্যে রাখা হয়েছে। ভাষার মাস এলে কয়েকদিনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রঙের কাজ করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সেই আয়োজন ভেস্তে যায়। এরপর জায়গাটি আবার অযত্নে পড়ে থাকে। শহিদ মিনারের মতো স্থাপনার পাশে ময়লার ভাগার রেখে দেওয়া হচ্ছে। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য চরম ব্যর্থতা।

নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী তবিবুর রহমান বলেন, শহিদ মিনার এমন একটি সম্মানিত স্থান যেখানে আমরা শহিদদের স্মরণে ফুল দিই। এটি কেবল একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য নয়; আমাদের সবার উচিত প্রতিদিনই শহিদ মিনারকে সম্মান ও মর্যাদায় রাখা। এজন্য প্রশাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি, কারণ প্রশাসনের সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া এ কাজ সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনের উচিত শহিদ মিনারকে সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ করে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

চারুকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ হৃদী বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ছাড়া বছরের বাকি সময়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অবহেলায় পড়ে থাকে। অথচ শহিদ মিনারের নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এখানে কোনো লাইটিং ব্যবস্থা নেই, ফলে সবসময় অন্ধকারে ঢাকা থাকে। জলাবদ্ধতা ও আবর্জনার কারণে প্রচুর মশার জন্ম হচ্ছে, যা একটি বিরূপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারকে যথাযথ মর্যাদা ও যত্ন দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জলাবদ্ধতা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইতিমধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য স্টেট অফিসারদের সাথে কথা বলেছি।

শহীদ মিনার বিষয়ে উপ-রেজিস্ট্রার (এস্টেট) এস. এম. হুমায়ুন কবির জানান, উপরে গাছপালা থাকার কারণে পরিষ্কার করার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে জায়গাটি আবারও নোংরা হয়ে যায় এবং শ্যাওলা পড়ে। পুরো ক্যাম্পাসে ঝাড়ুদার রয়েছে মাত্র তিনজন। সে কারণে প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্ভব হয় না। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্যারের নির্দেশে বালু ফেলার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপারেও দেখছি, সংশ্লিষ্টদের জানাবো, তারা কী ব্যবস্থা নেয়।

বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছি, তাই সরাসরি কিছু জানি না। যদিও পরিষ্কারের জন্য বলেছি। তবে আমাদের তিনজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর মধ্যে একজন অসুস্থ, যার কারণে পরিচ্ছন্নতায় বিঘ্ন ঘটছে। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল গিয়ে বিষয়টি দেখে কি করা যায় দেখবো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩