শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান; ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বরখাস্ত শ্রম বিষয়ক মিডিয়া পুরস্কার পেলেন চৌদ্দগ্রামের সাংবাদিক এমদাদ চৌদ্দগ্রামে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম তদন্তে দুদকের টিম এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি, ১ জন বহিষ্কার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক বিধবাকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা, এলাকা ছাড়ার হুমকি মামলা করতে এলে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ পুলিশের নেই: আইজিপি নরসিংদীতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত পুলিশি হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যুক্তরাজ্যে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা, যা বললেন শাহবাজ ‘বহুমুখী বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ’ উদ্বোধন করে কিমের হুঁশিয়ারি সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে: কায়সার কামাল নরসিংদী স্টেডিয়ামের নাম ডা. সজীব সকারের নামে চাইলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের ফ্লাইট টঙ্গীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিক বিক্ষোভ চৌদ্দগ্রামে মুজিবুল হক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নকলের সরবরাহের অভিযোগ

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল নদী পাড়

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল তিস্তাপাড়। তিস্তাপাড়ের জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

আন্দোলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন।

রংপুর অঞ্চলের মানুষজন তিস্তাপাড়ে জড়ো হচ্ছেন। তিস্তাপাড়ে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলো জন আকাঙ্ক্ষার দাবি। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষ ঘরে বসে নেই। তারা নিজ দায়িত্বে তিস্তাপাড়ে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।’

আসাদুল হাবিব দুলু কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা তিস্তাপাড়ে অবস্থান করব। এখানে পালাগান, সারিগান, ভাওয়াই, লালন, লোকসংগীত ও গ্রামীণ খেলাধুলা হা-ডু-ডু, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুট ও দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।’

তার ভাষ্য, ‘আমাদের ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পর সরকার আমাদের দাবি না মানলে আরও কর্মসূচির ডাক দেব।’

তিস্তাপাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষাকালে উজানে ভারতের পানিতে তাদের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে হয়। শুষ্ক মৌসুমে উজানে ভারত একতরফাভাবে তিস্তার পানি আটকে রাখে। এতে তিস্তার বুকে সেচের পানি পাওয়া যায় না। এ সময় তিস্তা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিস্তার ওপর নির্ভরশীল কৃষক, জেলে ও মাঝি।

তারা আরও জানান, তিস্তা নদী ড্রেজিং না হওয়ায় প্রতি বছর নদী ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার আবাদি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। পানির ন্যায্য হিস্যা পেলে ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা হয়ে উঠবে রংপুর অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে তিস্তা নদী ১১৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ২০ কিলোমিটার, আর ভাটিতে ৯৫ কিলোমিটার। ভাটিতে তিস্তা নদী পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে।’

‘তিস্তা ব্যারেজে পানি পাওয়া যাচ্ছে গড়ে দুই হাজার ৮০০ কিউসেক। এই পানি ছয় জেলার ৫৫ হাজার বোরো ধানের পানিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী পানির হিস্যা পাওয়া গেলে শুষ্ক মৌসুমেও তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে নদীতে পানিপ্রবাহ থাকত,’ বলেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩