বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
নাসির নগরে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এমএ হান্নানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকের লেনদেন স্থবির, গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ কুড়িগ্রামে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গেম নয়, নিয়ম মেনে বিদেশ-শিবচরে কর্মশালায় ইউএনও ইবনে মিজান দোয়ারাবাজারে মাদকের ছাড়াছাড়ি দুমকিতে খাসজমির দোকান দখলের অভিযোগ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ ও ব্র্যাকের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, আটক ৪ প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবীতে কুড়িগ্রাম টিএসসি’র শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত আমতলীতে যৌথ বাহিনীর চেক পোস্ট, চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা আমতলীতে স্বপ্ন ছোঁয়া স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিবচর এক্সপ্রেসওয়েতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলা কুবিতে ফুটবল খেলায় মারামারির ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই ঠাকুরগাঁও সীমান্তে মাদক ও নিষিদ্ধ ওষুধসহ তিনজন আটক রাউজানে বিশেষ অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ ৩ জন গ্রেফতার অটোর সাথে ওরনা পেচিয়ে তরুণীর মৃত্যু নাসিরনগরে বিএনপির মনোনয়ন পূর্ণবিবেচনার দাবিতে মামুন সমর্থকদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ

দুমকিতে পদ্মা ব্যাংকের লেনদেন স্থবির, গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ

সাকিব হোসেন, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পদ্মা ব্যাংক শাখায় দীর্ঘদিন ধরে টাকা উত্তোলন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক। প্রতিদিন ব্যাংকে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। জরুরি প্রয়োজনেও তারা নিজেদের সঞ্চয় তুলতে পারছেন না—ফলে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

উপজেলা সদরের সরকারি জনতা কলেজসংলগ্ন পদ্মা ব্যাংক শাখাটি দীর্ঘদিন ধরে চার হাজারের মতো গ্রাহকের লেনদেন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম ব্যাহত হতে শুরু করে। নতুন আমানত গ্রহণ বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো ডিপোজিটও ফেরত দিচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে গ্রাহক ভোগান্তি।

নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) এসএম ফজলুল হক জানান, তার ও পরিবারের চার সদস্যের অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৩ লাখ টাকা রয়েছে। কিন্তু চেক দিলেও দুই হাজার টাকার বেশি পাওয়া যায় না, সেটিও পেতে সপ্তাহজুড়ে ঘুরতে হয়।

রাইসমিল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার বলেন, জমি বিক্রির ৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার পর থেকে তিনি চরম অনিশ্চয়তায় আছেন। মাসে মাত্র দুই হাজার টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ঘুরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকার গ্রাহক মো. জসিম উদ্দিন জানান, চিকিৎসার জন্য জরুরি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ৫ লাখ টাকা জমা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে—টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।

লেবুখালির গ্রাহক মো. রিপন বলেন, “দেড় হাজার টাকা খরচ করে দশ মাস ধরে ঘুরছি। অথচ মাত্র দুই হাজার টাকা তুলতে পেরেছি।”

শ্রীরামপুরের মফিজ গাজী জানান, প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা টাকাও তুলতে পারছেন না। একই ধরনের অভিযোগ করেন পিরতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার, মো. হোচেন আলী ও মোশারফ হোসেনসহ অনেকেই। তাদের দাবি—ব্যাংক কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘টাকা নেই, এলে দেওয়া হবে।’

এই পরিস্থিতি নিয়ে জানতে দুমকি শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর আক্তার ও ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন বিভাগে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

স্থানীয়দের আশঙ্কা—দ্রুত লেনদেন স্বাভাবিক না হলে তাদের অনেকেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩