রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
এ.এস আব্দুস সামাদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
“ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে” “হেথা ভায়ে ভায়ে ঘর বেঁধেছি হিন্দু মুসলমান হেথা মন্দিরেতে ঘন্টা বাজে মসজিদে আজান”সহ অসংখ্য নামী দাবী কবিতার রচয়িতা জাতীয় জাগরণের কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম ও মৃত্যুদিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদন শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে কবির নিজ জন্মভূমি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলো কবি গোলাম মোস্তফা একাডেমি।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ১৭ তম এ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কবি গোলাম মোস্তফার মত কবি যুগে যুগে একবারই আসেন। তার স্মৃতি ধরে রাখতে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি গোলাম মোস্তফার নামে একটি হল অথবা একাডেমি ভবন হবে। শুধু কবি গোলাম মোস্তফা নয় শৈলকুপাকে সারা বিশ্বের বুকে তুলে ধরার সময় এসেছে। শৈলকুপার সার্বিক উন্নয়নে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মো: নসরুল্লাহ, যুগ্ম সচিব (সদস, রাউজক) মো: গিয়াস উদ্দিন, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস প্রমুখ। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে কবির জন্ম ও মৃত্যুদিবস উদযাপন করা হয়।
এবারই প্রথম কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম ও মৃত্যু দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদযাপিত হলো। যে কারনে তার জন্ম ও মৃত্যুর সঠিক তারিখ ব্যতিরেখে দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷
আলোচনা সভা শেষে কবি গোলাম মোস্তফার লেখা কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩