বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন
জাবি প্রতিনিধিঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কাজি নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
তবে এই প্রার্থীর প্রচারণা নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। জানা গেছে, পিয়ালের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত একাধিক নেতা-কর্মী, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত জুলাই হত্যা মামলার সাথে জড়িত ছিলেন এবং এ কারণে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
সালাম বরকত হলের বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে তার লিফলেট প্রচার ও অনলাইনে মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভোট চাওয়া ও প্রচারণা করার প্রমাণ এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী মুবাশ্বিরুজ্জামানকে পিয়ালের পক্ষে ভোট প্ররোচনা দিতে দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। এছাড়া আরও বেশ কিছু বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সুকৌশলে তার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন ও ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলেও জানা গেছে।
মো. আসাদুজ্জামান পিয়াল সম্পর্কে জানা যায়, তিনি সাবেক প্রক্টর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের ভাগ্নে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মীর মশাররফ হোসেন হলে সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন ফিরোজ-উল-হাসান। এ ঘটনার পর ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গেলে, ফিরোজ ও সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রক্টর ফিরোজও তার ভাগ্নের পক্ষে নানা মহলে প্রচার চালাচ্ছেন এবং প্রভাব খাটাচ্ছেন।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রার্থী পিয়ালের প্রচারণা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষক মহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। বহিষ্কৃতদের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতাধর আত্মীয়ের প্রত্যক্ষ সহায়তা, জাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সচেতন মহল।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩