বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও স্বজনদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হোটেল ব্যবসায়ী সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে পারে না; জামায়াতের সেক্রেটারি দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল একাত্তরের ঘটনায় পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর আগমনে স্বাগত মিছিল চৌদ্দগ্রামে টাকা আত্মসাত ঘটনায় প্রবাসীর বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ চৌদ্দগ্রামে বিএনপির প্রীতি ফুটবল ম্যাচে দর্শকের ভীড় চৌদ্দগ্রামে বিএনপির বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা চৌদ্দগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নববর্ষ উদযাপন ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে এনায়েতপুরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল দুই শিশুকে যৌন নিপীড়ন, বৃদ্ধ গ্রেফতার এনায়েতপুরে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে ঘুমের ঘরে ড্রাইভার মিলন নিহত বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায় এনসিপি মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের অভিযোগ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে

একাত্তরে পালিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা, চব্বিশেও: মির্জা ফখরুল

মুক্তিযুদ্ধকে অনেকেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তরে হত্যাযজ্ঞে সহযোগীরা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া সেসময় মানুষকে অরক্ষিত রেখে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পাকিস্তান গণহত্যার জন্য এখন পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। এ ছাড়া যারা হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছেন, তারা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু ইতিহাসকে কেউ বিকৃত করতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষকে অরক্ষিত রেখে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের আগস্টেও তারা তাদের নেতাকর্মীদের রেখে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতান্ত্রিক সুবিধা দেয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’
তিনি বলেন, ‘৭১- এর সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়া। যারা এই ইতিহাস জানেন না, তারাই জিয়াউর রহমানের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সংস্কার কোনো নতুন জিনিস নয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের পাহাড় নিয়ে এসেছে। এর অনেক কিছুই জনগণ বোঝে না। বিএনপি এর প্রত্যেকটা নিয়ে মতামত দিয়েছে দেশের মানুষের কাছে। প্রথম সংস্কার নিয়ে এসেছেন জিয়াউর রহমান। এরপরে মৌলিক সংস্কার করেছেন খালেদা জিয়া। এবারও রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে নির্বাচন লাগবে। নির্বাচন পিছিয়ে দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুতুব তৈরি হয়েছে, তারা বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিতে চায়। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।’
এসময় সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। যা মেনে নিতে পারি না।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো কথা যেন না শুনতে হয় যে বিএনপি খারাপ কিছু করছে। যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে শোডাউন করে তারা কী করবে তা বোঝা যাচ্ছে। তাই নিজেরা সতর্ক থাকুন।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন, বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩