মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ঝালকাঠি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ শামীম তালুকদারের বহিষ্কারাদেশ অবশেষে প্রত্যাহার নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে এশিয়ার বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮৭ পরিবারের মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ ঝালকাঠিতে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কালকিনিতে হাতপাখার প্রার্থী মাওলানা আজিজুল হকের গনসংযোগ অনুষ্ঠিত কুবিতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ উদ্যোক্তা মেলা টানা ষষ্ঠবার শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা শ্রীবরদীতে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসুচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জাবিতে নবাগত ৫৪ ব্যাচের প্রবেশিকা অনুষ্ঠিত শেরপুর থেকে ঝিনাইগাতী গামী লোকাল বাস দুর্ঘটনার স্বীকার দুমকী পুলিশের অভিযানে সোয়া ৩ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেফতার মোংলায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ বাউফলে এনসিপির প্রার্থী শাহিনের তোরণে আগুন বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বম জনগোষ্ঠীর ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান ইসিসি চার্চে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ এক পদে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক উপজেলা পরিষদ মাঠ রক্ষার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে মানববন্ধন বর্তমান প্রশাসন ফারজানা-নুরুলেরই কার্বন কপি মাত্র কুড়িগ্রামে এবি পার্টির নির্বাচনী গণসংযোগ-লিফলেট বিতরণ দুমকির শ্রীরামপুর ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ ঈদগাঁওতে পত্রিকা বিক্রেতার বাড়ির রাস্তা দখল করে ছাঁদ নির্মাণের অভিযোগ

নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে এশিয়ার বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল

মাহবুব হাসান, নলছিটি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে সুগন্ধা নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল এক সময়ের এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল। ব্রিটিশ আমলে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী আমিন আনোয়ার নলছিটির কল বাড়ি এলাকায় কয়েক একর জমি ক্রয় করে এই মিল গড়ে তোলেন। স্থাপনার সময় মিলটি এশিয়ার বৃহত্তম হিসেবে খ্যাতি পায়।

মিলটির কারণে নলছিটি ও ঝালকাঠিতে বাণিজ্যের এক নতুন যুগ শুরু হয়। চাল, ডাল, সুপারি, লবণ, নারিকেল ও তেতুলের জন্য অঞ্চলটি বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ভারতের কলকাতার বড় ব্যবসায়ীরা নলছিটিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে যুক্ত হন। এই কারণে নলছিটিকে তখন ‘দ্বিতীয় কলকাতা’ বলে অভিহিত করা হতো।

বৃটিশ শাসনামলে নলছিটিতে সদর দপ্তর স্থাপন এবং ১৮৬৫ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় হিন্দু, মগ ও চীনা ব্যবসায়ীরা নলছিটিতে আসা-যাওয়া করতেন, আর ষ্টীমার ঘাটের নির্মাণে বাণিজ্যিক সুবিধা আরও বৃদ্ধি পেত।

প্রবীণদের কথায়, তিন শতাধিক তৈলের ঘানি ও অটো রাইচ মিল চালু থাকাকালে নলছিটির কয়েক মাইল পর্যন্ত মিলের কম্পন অনুভূত হতো। মিলের হুইসেল ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যেত।

স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক কারণে মিলটি তার পুরোনো জৌলুশ হারাতে থাকে। মূল মালিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সরকারের পাওনা পরিশোধে গড়িমসির কারণে অনেকেই মিলটি ত্যাগ করে চলে যান। বর্তমানে মিলটির অতীত গৌরব ইতিহাসের অংশ হিসেবে শুধু স্মৃতিতে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

মিলটির ইতিহাস নলছিটির অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী হিসেবে এখনও স্থান করে রেখেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩