বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
শাওন বল, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
বর্তমান যুগে রাত জাগা অনেকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম রাত জেগে পড়াশোনা, মোবাইল ফোন ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটানো কিংবা কাজের পেছনে সময় ব্যয় করে থাকেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত রাত জাগা শরীর ও মনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ঘুমের অভাবে শারীরিক ক্ষতি
চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাব হলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে সহজেই রোগবালাই ধরতে পারে। মাথাব্যথা, চোখে জ্বালা, অস্থিরতা, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, এমনকি স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশি রাত জাগা মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে বিশ্রাম পায় না, ফলে মনোযোগের ঘাটতি, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং কাজের দক্ষতা হ্রাস পায়। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন রাত জাগার কারণে মানুষ চঞ্চল, খিটখিটে এবং উদ্বিগ্ন স্বভাবের হয়ে ওঠেন।
তরুণদের জন্য বাড়তি বিপদ
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাত জাগার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে স্মার্টফোন, ভিডিও গেম, সিনেমা দেখা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কারণে রাত ২-৩টা পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তাদের পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে জাগার অভ্যাস করতে হবে। রাত ১১টার মধ্যে ঘুমাতে পারলে শরীর সবচেয়ে বেশি উপকার পায়। ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার না করাই ভালো। এছাড়া ঘুমানোর আগে হালকা খাবার খাওয়া, প্রার্থনা বা মেডিটেশন করাও শরীর ও মনকে প্রশান্ত করতে সহায়ক।
রাত জাগা অনেকের কাছে অভ্যাস মনে হলেও এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩