বৃহস্পতিবার, ১৭ Jul ২০২৫, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক ব্লকেড যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো ভোলাহাটে জুলাই শহিদ দিবস আমতলীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এফএইচ এসোসিয়েশনের মশারি বিতরন বেরোবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে কটিয়াদীতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি কটিয়াদীতে জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ববিতে জুলাই শহীদের স্মরনে কালোব্যাজ ধারন ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পটুয়াখালী দুমকিতে জেন্ডার ইকুয়ালিটি ট্রান্সফস ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত যথাযথ মর্যাদায় জুলাই শোক দিবস পালন করলো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচবিবিতে ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে জামায়াতের স্বাগত মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুমকিতে অবকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী দুমকিতে বিএমএসএফ’র ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে মাভাবিপ্রবিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত প্রভাষক পদে নিয়োগ পেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন শিবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ও ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার আর্থিক খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় কয়েকটি পরিবার

মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ঠাকুরগাঁওঃ

বাঁশের তৈরি বিভিন্ন উপকরণকে জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ার গুটি কয়েক পরিবারের কিছু মানুষ। এই বাঁশই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পন্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাশঁশিল্প। বাঁশের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি।

গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যাবহার করলেও, এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা সেই চিত্র। এরপরেও উপজেলার গুটি কয়েক পরিবারের মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেঁতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

বর্তমানে সল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়াতে কদর বেড়ে যাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর তেমন নেই।

অন্যদিকে বাজারগুলো দখল করে রেখেছে প্লাস্টিক, এলুম্যানিয়াম, স্টিলসহ বিভিন্ন দ্রব্য। তাছাড়াও প্লাস্টিক ও অন্যান্য দ্রব্যের পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ এখন সেগুলোর ওপর।

এছারাও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে করা দামে বাশঁ ক্রয় করে আনতে হয় বিভিন্ন হাট বাজার থেকে।

তৈরিকৃত পন্য নিজেদের ব্যাবহারের পাশাপাশি, বাজারে বিক্রি করে চলতো তাদের জীবন-যাপন। তবে এখনও গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশের তৈরি কুলা, চালুন, খাঁচা, মাচাং, মই, চাটাই, ঢোল, গোলা, ওড়া, বাউনি, ঝুঁড়ি, ডুলা, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, মাথাল, বইপত্র রাখার র‌যাকসহ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বসে আছেন এ পেশার কারিগররা।

প্রতিদিন তাদের তৈরি কিছু পণ্য বাজারের সপ্তাহের দুইহাট সহ গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ফেরি করলে, কিছু সৌখিন মানুষ আছে তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তরি-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা। এভাবেই তাদের জীবন-জীবিকা চলে। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমুলের দাম বেশি হওয়ায়, স্বল্প আয়ের এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩