সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত ৩৬তম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেশিনারি মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল ও ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে তৈরি পোশাকের বাইরে বৈচিত্র্যপূর্ণ রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।
১০ থেকে ১২ জুলাই মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে (এমঅঅইটিইসি) আয়োজিত এই মেলায় বিশ্বের ১০টি দেশের ৪৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান ৭৫৩টি বুথে তাদের পণ্য প্রদর্শন করে।
মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটিজ বিষয়ক মন্ত্রী ওয়াই বি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনি ১১ জুলাই এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আয়োজকদের আমন্ত্রণে সমাপনী দিনে ‘বিজনেস ম্যাচিং সেশন’-এ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ নীতির আলোকে—বিশেষ করে প্রকৌশল, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, চামড়াজাত পণ্য, পাট, হস্তশিল্প ও ইলেকট্রনিকস খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় রপ্তানি খাতে বহুমুখীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণকে স্বীকৃতি জানিয়ে আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। হাইকমিশনার শামীম আহসান এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
পরে হাইকমিশনার বাংলাদেশি দুটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং জানান, এ ধরনের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
মেলার শুরু থেকেই বাংলাদেশি স্টলগুলোতে বিদেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আগ্রহ ছিল লক্ষ্যণীয়, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী। সুত্রঃ বাসস
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩