বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম মাভাবিপ্রবির ফরহাদ হোসেন পটুয়াখালীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের মফস্বল সাংবাদিকতায় অনন্য অবদান: সাংবাদিক নোমানীকে বার্তা প্রবাহ সম্মাননা ভবন নির্মাণে বারবার বাধা, দ্রুত কাজ শুরুর দাবিতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বর্তমান জাবি প্রশাসন ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছে: অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রায় গাইবান্ধায় এনসিপির নেতৃবৃন্দ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি ‎চালের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ায় বরিশালে মানববন্ধন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় সংখ্যালঘু নারীর বাড়িতে ছুটে গেলেন সাবেক এমপি “কায়কোবাদ” কুড়িগ্রামে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রেস ব্রিফিং দুমকীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি বেরোবিতে হঠাৎ বাড়ল সেমিস্টার ফি, শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

শ্রীপুরে পুত্রবধুর মামলায় কারাগারে দেবর-শ্বশুর

শ্রীপুর, গাজীপুর:

গাজীপুরের শ্রীপুরে নারী নির্যাতনের মামলায় দেবর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুত্রবধু শিলা আক্তারের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১মে) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলা মাওনা ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলো নিজ মাওনা গ্রামের মৃত আমজাত আলীর ছেলে জানে আলম (৫০) ও তার ছোট ছেলে রফিক (২৬)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সাত মাস আগে জানে আলমের ছেলে শফিক (৩০) এর সঙ্গে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার খাসবরের বয়ড়া গ্রামের মৃত আঃ সামাদের কন্যা শিলা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ২ লাখ টাকা, ঘরের আসবাব পত্র এবং চার লাখ টাকার স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আবার যৌতুকের টাকার জন্য শুরু হয় শারীরিক মানসিক নির্যাতন।

গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি শিলা কে মারধর করে শশুর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তার বড় ভাই মুসা শেখ শ্রীপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শিলা আক্তার বাদী হয়ে ১৮ এপ্রিল শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। মামলায় আসামি করা হয়, শফিক ও তার বাবা জানে আলম, মা সুফিয়া (৪৫) ও তার ভাই রফিককে।

তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে জানে আলম ও রফিক। স্থানীয় লোকজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, শফিক ও রফিক এলাকার খারাপ চরিত্রের মানুষ এবং মাদকসেবী। শফিক আগে একাধিকবার বিয়ে করেছে এবং তার স্ত্রীদেরকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান স্ত্রী শিলা আক্তারকে বারবার মারধর করে। নিজ মাওনা গ্রামের শাহাবুদ্দিন জানান, আমার সামনেই শফিক একদিন তার স্ত্রীকে মারধর করে।

শ্বশুর জানে আলম ও ভাই রফিক মিলে চুলের মুঠি ধরে টানা হেঁচড়া করে।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩