সোমবার, ০২ Jun ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
নলছিটিতে টিসিবি ডিলারকে কুপিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বাংলাদেশের আর্থিক খাত ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে আ.লীগ সরকার: অর্থ উপদেষ্টা ঈদে ১০ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি নগরীর যানজট নিরসনের মনোরেল হচ্ছে চট্টগ্রামে: উপদেষ্টা আসিফ মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ঈদুল আজহা আজ থেকে ১১ ব্যাংকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা ঝালকাঠিতে শতবর্ষী পুকুর ভরাটের চেষ্টা: নগরবাসীর আশঙ্কা, হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন ও লুটপাট ঈদকে ঘিরে পাটগ্রামে রক্ত কণিকার ভিন্ন উদ্বেগ ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে তিস্তার পানি; প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল শেখ হাসিনাকে দিয়ে শুরু ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ২ নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, ছুটে এলেন সারজিস নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির

আ. লীগ নিষিদ্ধ না হলে প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে: রাশেদ খান

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতীয় সংলাপ ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। অন্তর্বর্তী সরকার এতে রাজি না হলে প্রয়োজনে সরকার বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় রাজনীতির মাঠ। যেখানে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে বলে জানান। তাছাড়া সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

এবার এই রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েছেন। যেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। রাশেদ খানের দেওয়ার ফেসবুক পোস্টটি যুগান্তর অনলাইন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় সংলাপ ডাকার আহ্বান করছি। প্রধান উপদেষ্টা যদি আগামীকালই এই সংলাপ ডাকে আগামীকালই আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে। এখন কথা হলো, সেই সংলাপ কি ডাকা হবে?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দুজন ছাত্র উপদেষ্টা আছেন, তারা সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলে সংলাপ ডাকতে চাপ প্রয়োগ করুক। যদি তাদের কথা না শোনে, তাহলে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসুক। তারপর জনগণ সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে এই সরকার বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য থাকবে।

সত্যিই যদি আ.লীগকে সত্যিই নিষিদ্ধ চান, তবে জাতীয় সংলাপ ডাকতেই হবে এবং এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখতে হবে ছাত্র উপদেষ্টাদের। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি, কোন দল পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বলতে পারবে না, আ.লীগকে নিষিদ্ধ চায় না।

সুতরাং জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমেই নিষিদ্ধ হোক গণহত্যাকারী দল আ.লীগ। আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত  রাজনৈতিক ও সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। এবং সেটির আয়োজক হতে হবে সরকারকে। আর যদি সেটি না হয় আ.লীগ পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজীবন থেকে যাবে দায়ী। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ইস্যুটা সমাধান না করা হয়, তাহলে ধরে নিবো নিষিদ্ধের ইস্যু জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া হচ্ছে!

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩