সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
বর্ষাকালেই দেখা যায় রাস্তার নতুন রূপ মুসলিম বিশ্বের সহায়তায় ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাঘাইছড়িতে জিয়াউর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো জঙ্গিবাদ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত ইসরাইল অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান: এক লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড জীবন যুদ্ধে হার না মানা শতবর্ষী বৃদ্ধ আজাহার মোল্লা সংস্কারের নামে বেহাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ জয়পুরহাটে জামায়াতের নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫০ ফিট রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন গাইবান্ধার ফুলছড়িতে পার্টনার প্রকল্পের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে রানার্স আপ মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি কলাপাড়ায় সর্বপ্রথম এক মসজিদের মুয়াজ্জিনের জন্য মসজিদ কমিটি পেনশন চালু করেছে চৌদ্দগ্রামে দুর্ঘটনার শিকার লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, নিহত ২ বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন, আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান: এক লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড

 

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে আজ শুক্রবার (৫ জুলাই ২০২৫) দুপুরে একটি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া শিশুদের জন্য তৈরি ফ্লেভার জেলি ও আইস ললি উৎপাদন ও বাজারজাত করার অপরাধে “বাদল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ” নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৭ (সাত) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অভিযানকালে আনুমানিক চার লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য জব্দ করা হয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয়। এ সকল খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রং, রাসায়নিক দ্রব্য ও ক্ষতিকর ফ্লেভার ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে করে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার বৈধ অনুমোদন ছাড়াই এসব ক্ষতিকর শিশু খাদ্য তৈরি করে আসছিল। এসব অস্বাস্থ্যকর পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলোতে শিশুদের কাছে বিক্রি হতো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পণ্য শিশুদের শরীরে ধীরে ধীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এসব কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে শিশুদের লিভার, কিডনি ও হজম প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া এসব খাবারের প্রতি শিশুদের ঝোঁক তৈরি হয় যা তাদের স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসকেও নষ্ট করছে।

শিশুদের আকৃষ্ট করতে এসব পণ্যে বাহারি রঙ ও মনোরম প্যাকেজিং ব্যবহার করা হয়, যা শিশুদের পছন্দের বস্তুতে পরিণত হয়। অথচ এসব ‘চকচকে মোড়কে’ ঢেকে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির মারাত্মক বিপদ।

অভিযানটি পরিচালিত হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা শাখার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মুরাদনগর থানার পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির আওতায় রেখেছে। যেখানে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য উৎপাদন বা বাজারজাত করা হচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩