মঙ্গলবার, ১৫ Jul ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার আর্থিক খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: রুহুল কবির রিজভী মাভাবিপ্রবিতে “জুলাই শহিদ দিবস” উপলক্ষে বুধবার আলোচনা সভা বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস আজ কুড়িগ্রামে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য চাষিদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের নোটিশ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ পাঁচবিবিতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালকের মর্মান্তিক মৃত্যু মোংলায় বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছসহ ভারতীয় ৩৪ জেলা আটক বিইউপি কতৃক আয়োজিত পেইন্টিং কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কুড়িগ্রামে স্থানীয় সিএসওদের সাথে লিগ্যাল এইডের মতবিনিময় সন্দ্বীপে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান: এক লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ দিনের কারাদণ্ড

 

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে আজ শুক্রবার (৫ জুলাই ২০২৫) দুপুরে একটি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া শিশুদের জন্য তৈরি ফ্লেভার জেলি ও আইস ললি উৎপাদন ও বাজারজাত করার অপরাধে “বাদল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ” নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৭ (সাত) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অভিযানকালে আনুমানিক চার লক্ষ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য জব্দ করা হয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয়। এ সকল খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রং, রাসায়নিক দ্রব্য ও ক্ষতিকর ফ্লেভার ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে করে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার বৈধ অনুমোদন ছাড়াই এসব ক্ষতিকর শিশু খাদ্য তৈরি করে আসছিল। এসব অস্বাস্থ্যকর পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলোতে শিশুদের কাছে বিক্রি হতো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পণ্য শিশুদের শরীরে ধীরে ধীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এসব কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে শিশুদের লিভার, কিডনি ও হজম প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া এসব খাবারের প্রতি শিশুদের ঝোঁক তৈরি হয় যা তাদের স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসকেও নষ্ট করছে।

শিশুদের আকৃষ্ট করতে এসব পণ্যে বাহারি রঙ ও মনোরম প্যাকেজিং ব্যবহার করা হয়, যা শিশুদের পছন্দের বস্তুতে পরিণত হয়। অথচ এসব ‘চকচকে মোড়কে’ ঢেকে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির মারাত্মক বিপদ।

অভিযানটি পরিচালিত হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা শাখার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মুরাদনগর থানার পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির আওতায় রেখেছে। যেখানে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য উৎপাদন বা বাজারজাত করা হচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩