বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
রুলে কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না
২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইনের এমন বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
২১দিনের মধ্যে আইনসচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল কবির। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো:তৌফিকুল ইসলাম খান।
আদালতে আইনের ১৮ ধারার (সঙ্গে ২ ধারার ৪ উপধারা) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো:তৌফিকুল ইসলাম খান।
এ ধারায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, কোনো আদালত এই আইনের অধীন কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবেন না।
আর ২(৪) ধারায় বলা হয়েছে,”কর্তৃপক্ষ”অর্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তার নিকট থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উক্ত অধিদপ্তরের কোনো ভেটেরিনারি সার্জন।
বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,অভিযোগ শুধু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দায়ের করবে এমন বিধান করে সব নাগরিকের অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
কারণ আমরা প্রায় দেখি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রাণীকে মারা হচ্ছে।
কিন্তু সেগুলোর বিচার হচ্ছে না। কারণ কোনো নাগরিক অভিযোগ দিলে সেটা আদালত বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না।
অন্যদিকে অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কিনা তার নজির এখনো দেখিনি। তাই এটা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
এ কারণে আইনের এমন বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। আদালত রুল দিয়েছেন তিন সপ্তাহের। আইনসচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩