রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব:
শুক্রবার রাতে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১৪ জুন) ইরান শক্তিশালী ও ‘বেদনাদায়ক’ জবাব দিয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। ইরানের বিপ্লবী গার্ড (IRGC) একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, রামাত দাভিদ বিমানঘাঁটি এবং গোলান হাইটসের একটি রাডার ঘাঁটি এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে, তবুও সামান্য ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইরানের পক্ষ থেকে এই হামলাকে “শহীদদের রক্তের বদলা” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তেহরান বলছে, ইসরায়েলের আগ্রাসন ছিল ‘চরম বেপরোয়া একটি পদক্ষেপ’, যার চূড়ান্ত জবাব দিতে দেশ প্রস্তুত ছিল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও স্পষ্ট করে বলেছেন, “ইসরায়েলের প্রতি কোনো দয়া দেখানো হবে না। এই অপরাধের পরিণাম তাদের ভোগ করতেই হবে।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই পাল্টা হামলা তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান সংঘর্ষ পুরো অঞ্চলে অশান্তি ডেকে আনতে পারে। পরিস্থিতি যেন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ না নেয়, সে বিষয়ে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ‘বেদনাদায়ক জবাব’ শুধু ইসরায়েলকেই নয়, বরং গোটা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে-মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ কখনও সীমিত থাকে না। ইরান আগেই জানিয়েছিল, তারা ছয়শ’রও বেশি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল একযোগে ছোঁড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। সেই ঘোষণার বাস্তব প্রয়োগ দেখা গেল এবারকার পাল্টা জবাবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩