বৃহস্পতিবার, ১২ Jun ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
সদরপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে যুবককে মারধর, ইউপি সদস্য গ্রেফতার শিবগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া মহিলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত রাজাপুরে জমি দখলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, পরিবার অবরুদ্ধ – জনমনে চরম আতঙ্ক উল্লাপাড়ায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গালায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামীর অত্মহত্যার চেষ্টা গাজীপুর শ্রীপুরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিতে তরুণীর আত্মহত্যা বাগেরহাটের সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদ্ধার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব চৌদ্দগ্রামে গোসল করতে নেমে দুই বোনের মৃত্যু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ৭ নির্দেশনা ভবানীপুর যুব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন – শতাধিক মানুষের অংশগ্রহ ছৈলার চরে পর্যটককে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন, ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবি কেন্দুয়ায় সৈয়দ আলমগীর চৌধুরীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ভাঙচুর: অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

নতুন রূপে করোনা, অদৃশ্য ভয়ের ছায়া দেশজুড়ে

মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, ঢাকা প্রতিনিধিঃ

দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আগের মতো জ্বর, কাশি বা ক্লাসিক উপসর্গ নয়—বর্তমানের করোনা ভ্যারিয়েন্ট JN.1 অধিক ‘নীরব’ এবং দ্রুতগতিতে ছড়ায়। আক্রান্ত অনেকেই বুঝতে পারছেন না তাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি, আর সেখানেই মূল ভয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনটি সাধারণ টেস্টে ধরা পড়ে না বললেই চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাক বা গলায় সময় না কাটিয়ে এটি সরাসরি ফুসফুসে চলে যাচ্ছে, ফলে উপসর্গ দেখা দিলেও পরীক্ষার ফলাফল আসছে নেগেটিভ। এতে করে অনেকেই মনে করছেন তারা সুস্থ, কিন্তু ততক্ষণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাও বাড়াচ্ছে ঝুঁকি। দেশে এখনও পর্যাপ্ত কিট নেই এই বিশেষ ধরনটি নির্ধারণের জন্য। বেশিরভাগ জায়গায় সাধারণ করোনা পরীক্ষা চললেও, তা এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করতে অক্ষম। ফলে ভাইরাস কতটা ছড়িয়েছে বা কে কে সংক্রমিত—তা জানার উপায়ও সীমিত।

সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়। অক্সিজেন সাপোর্ট, আইসোলেশন ইউনিট কিংবা দ্রুত সাড়ার মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক হাসপাতালেই এখনো অনুপস্থিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতই স্বাভাবিক ভাবা হোক না কেন, এই ভাইরাসের প্রতিটি রূপই ভয়ানক হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

জনগণকে বলা হচ্ছে, আবারো ফিরতে হবে সেই পুরনো অভ্যাসে—মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার, এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা। এখনই সচেতন না হলে আবারও দেখা দিতে পারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩