শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
আক্কেলপুরের রুকিন্দিপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ফলপ্রসূ ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় সামরিক পদক্ষেপ চান ইরানিরা, কুম শহরে বিক্ষোভ অসহায় রফিকুল ইসলামের পাশে আলোর সন্ধানী সমাজ কল্যাণ পরিষদ-মালয়েশিয়া প্রবাসী ইউনুস আলীর সহায়তা চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মাস্টারের ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন পাঁচবিবি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আক্কেলপুরে ওলামা বিভাগের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ওলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার শিবগঞ্জের দেউলীতে এনসিপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ওয়ানডে নেতৃত্বে রদবদল: শান্ত বাদ, দায়িত্বে মিরাজ গৃহবধূর শরীরে গরম পানি নিক্ষেপ, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি ঢাকায় তিতাস নদীতে কোরবানির বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ: মুরাদনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান সদরপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে যুবককে মারধর, ইউপি সদস্য গ্রেফতার শিবগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া মহিলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত রাজাপুরে জমি দখলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, পরিবার অবরুদ্ধ – জনমনে চরম আতঙ্ক

বৃষ্টির মধ্যেই ঢালাই, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়াঃ

নাসিরনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত নাসিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজের মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী, সামান্য পরিমাণে সিমেন্ট ও বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ চলায় দ্রুতই নষ্ট হয়ে যেতে পারে নির্মাণকাজের মান। সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির মধ্যেই চলছে ঢালাইয়ের কাজ। পানি জমে আছে নির্মাণস্থলে, তবু কাজ বন্ধ না রেখে চলছে ঢালাই, যা প্রকৌশলগতভাবে অনুচিত ও ঝুঁকিপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় পৃষ্ঠ শুকনো ও পরিষ্কার থাকা আবশ্যক। বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই করলে কংক্রিটের মিশ্রণে পানি অতিরিক্ত ঢুকে যায়, ফলে কাঠামোর মান কমে যায় এবং ভবিষ্যতে ফাটল ও ধসের আশঙ্কা থাকে।

পাশেই অবস্থিত নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও দেখা যায় একই চিত্র, বৃষ্টির মধ্যেই চলছে পার্কিং টাইলস ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।সেখানেও দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো ব্যাক্তির উপস্থিতি দেখা যায়নি।

স্থানীয় এক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উপরে চাপ রয়েছে কাজ শেষ করার। ফলে প্রকৌশলগত নিয়ম না মেনে বৃষ্টিতেও কাজ করতে হচ্ছে।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শুধু এই প্রকল্পই নয়, অতীতে একই ধরণের অনিয়ম একাধিকবার ঘটেছে। প্রয়োজনীয় তদারকির অভাব এবং জবাবদিহিতার ঘাটতি থাকার কারণে এমন পরিস্থিতি বারবার তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩