বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও স্বজনদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হোটেল ব্যবসায়ী সংস্কার ও গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে পারে না; জামায়াতের সেক্রেটারি দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল একাত্তরের ঘটনায় পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর আগমনে স্বাগত মিছিল চৌদ্দগ্রামে টাকা আত্মসাত ঘটনায় প্রবাসীর বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ চৌদ্দগ্রামে বিএনপির প্রীতি ফুটবল ম্যাচে দর্শকের ভীড় চৌদ্দগ্রামে বিএনপির বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা চৌদ্দগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নববর্ষ উদযাপন ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে এনায়েতপুরে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল দুই শিশুকে যৌন নিপীড়ন, বৃদ্ধ গ্রেফতার এনায়েতপুরে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে ঘুমের ঘরে ড্রাইভার মিলন নিহত বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায় এনসিপি মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের অভিযোগ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে

সীমাহীন জ্বালানির সন্ধান পেয়েছে চীন

সীমাহীন এক জ্বালানির উৎসের সন্ধান পেয়েছে চীন। এই জ্বালানি দিয়ে তারা ৬০ হাজার বছর চলতে পারবে। বেইজিংয়ে ভূবিজ্ঞানীরা এমন দাবি করেছেন।  এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, ইনার মঙ্গোলিয়ায় বায়ান ওবো খনিজ কমপ্লেক্সে পাওয়া গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ থোরিয়াম। এটি এতটা বেশি যে, তা দিয়ে চীনাদের প্রতিটি বাড়িতে ‘চিরদিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

উল্লেখ্য, থোরিয়াম হালকা মাত্রার একটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ। এটা দিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। এর নাম হবে মল্টেন-সল্ড রিঅ্যাকটর। তা থেকে আসবে অসীম পরিমাণ বিদ্যুৎ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ওই খনি থেকে পুরোটা থোরিয়াম উত্তোলন করা যায় তাহলে তার পরিমাণ হবে ১০ লাখ টন। দ্য সাউথ চায়না পোস্ট প্রকাশিত হয়ে পড়া একটি রিপোর্ট উল্লেখ করে এ তথ্য দিয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই খনিতে থোরিয়ামের উৎস এখন পর্যন্ত অস্পৃশ্য অবস্থায় আছে। এটা যথাযথভাবে উত্তোলন করা গেলে তা সারাবিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ইতি ঘটাবে। গবেষকরা আরো দাবি করেছেন যে, ইনার মঙ্গোলিয়ার একটি লোহার আকরিকের খনি থেকে ৫ বছরে যে বর্জ্য হিসেবে খনিজ পাওয়া যাবে, তাতে যে পরিমাণ থোরিয়াম থাকবে, তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার বছরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। উল্লেখ্য, এই খবরটি এমন এক সময়ে এলো যখন চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার সোর্স সন্ধান করছে। গবেষণায় পুরো চীনে ২৩৩ টি থোরিয়াম সমৃদ্ধ অঞ্চলের সন্ধান মিলেছে। যদি এ কথা সত্য হয়, তাহলে চীনে যে পরিমাণ থোরিয়াম জমা আছে, তা আগের হিসাবকে অনেকটাই ছাড়িয়ে যাবে। প্রচলিত পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩২। তার চেয়ে কমপক্ষে ৫০০ গুণ বেশি থোরিয়াম জমা আছে। ফলে চীনের মুখে হাসির রেখা দেখা দিয়েছে।

পারমাণবিক চুল্লি তেজষ্ক্রিয় পদার্থকে ফিশন বা বিগলন নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকালে ওই তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়, অধিক স্থিতিশীল পদার্থে পরিণত হয়। তার সঙ্গে প্রচুর তাপশক্তি সৃষ্টি করে। এই তাপশক্তিকে ব্যবহার করে স্টিম টার্বাইন চালানো যায়। নিজে থেকে থোরিয়াম বিগলনযোগ্য নয়। এর অর্থ হলো ফিশন প্রক্রিয়ায় একে ব্যবহার করা যায় না। তবে ফিশন বিক্রিয়ার ভিত্তি হিসেবে তা ব্যবহার হয়। এর কারণ হলো থোরিয়াম হলো ‘উর্বর’। এর অর্থ হলো যখন নিউট্রনের সঙ্গে সংঘর্ষে বোমার মতো আচরণ করে তখন থেরিয়াম পরিবর্তিত হয়ে ইউরেনিয়াম- ২৩৩’তে পরিণত হতে পারে। মল্টেন-সল্ড রিঅ্যাকটরে থোরিয়াম মিশ্রিত হয় আরেকটি রাসায়নিক লিথিয়াম ফ্লোরাইডের সঙ্গে এবং তা প্রায় ১৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়। এই মিশ্রণ তারপর নিউট্রনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় যতক্ষণ না কিছু থোরিয়াম পরিবর্তন হয়ে ইউরেনিয়াম-২৩২’তে পরিণত হওয়া শুরু করে। এটা একটি ফিশন বিক্রিয়া। ক্ষয় প্রক্রিয়ায় এই ইউরেনিয়াম তখন অধিক পরিমাণে নিউট্রন তৈরি করে। তা অতিরিক্ত থোরিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বালানিতে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালে পারমাণবিক চুল্লি অসীম পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩