শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ইসরায়েলকে ‘বেদনাদায়ক’ জবাব দিল ইরান লর্ডসে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণ আফ্রিকা, ‘চোকার’ তকমা মুছে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ মোহনগঞ্জে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে, দুই সিএনজি চালকের জেল-জরিমানা আক্কেলপুরের রুকিন্দিপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ফলপ্রসূ ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় সামরিক পদক্ষেপ চান ইরানিরা, কুম শহরে বিক্ষোভ অসহায় রফিকুল ইসলামের পাশে আলোর সন্ধানী সমাজ কল্যাণ পরিষদ-মালয়েশিয়া প্রবাসী ইউনুস আলীর সহায়তা চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মাস্টারের ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন পাঁচবিবি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আক্কেলপুরে ওলামা বিভাগের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ওলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার শিবগঞ্জের দেউলীতে এনসিপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ ওয়ানডে নেতৃত্বে রদবদল: শান্ত বাদ, দায়িত্বে মিরাজ গৃহবধূর শরীরে গরম পানি নিক্ষেপ, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি ঢাকায় তিতাস নদীতে কোরবানির বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ: মুরাদনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

নতুন রূপে করোনা, অদৃশ্য ভয়ের ছায়া দেশজুড়ে

মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, ঢাকা প্রতিনিধিঃ

দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আগের মতো জ্বর, কাশি বা ক্লাসিক উপসর্গ নয়—বর্তমানের করোনা ভ্যারিয়েন্ট JN.1 অধিক ‘নীরব’ এবং দ্রুতগতিতে ছড়ায়। আক্রান্ত অনেকেই বুঝতে পারছেন না তাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি, আর সেখানেই মূল ভয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনটি সাধারণ টেস্টে ধরা পড়ে না বললেই চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাক বা গলায় সময় না কাটিয়ে এটি সরাসরি ফুসফুসে চলে যাচ্ছে, ফলে উপসর্গ দেখা দিলেও পরীক্ষার ফলাফল আসছে নেগেটিভ। এতে করে অনেকেই মনে করছেন তারা সুস্থ, কিন্তু ততক্ষণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাও বাড়াচ্ছে ঝুঁকি। দেশে এখনও পর্যাপ্ত কিট নেই এই বিশেষ ধরনটি নির্ধারণের জন্য। বেশিরভাগ জায়গায় সাধারণ করোনা পরীক্ষা চললেও, তা এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করতে অক্ষম। ফলে ভাইরাস কতটা ছড়িয়েছে বা কে কে সংক্রমিত—তা জানার উপায়ও সীমিত।

সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়। অক্সিজেন সাপোর্ট, আইসোলেশন ইউনিট কিংবা দ্রুত সাড়ার মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক হাসপাতালেই এখনো অনুপস্থিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতই স্বাভাবিক ভাবা হোক না কেন, এই ভাইরাসের প্রতিটি রূপই ভয়ানক হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

জনগণকে বলা হচ্ছে, আবারো ফিরতে হবে সেই পুরনো অভ্যাসে—মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার, এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা। এখনই সচেতন না হলে আবারও দেখা দিতে পারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩