বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একই ঠিকাদার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উন্নয়ন কাজ না করেই লাপাত্তা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ। শিগগির দুই সড়কের কাজ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সরকারের নিকট আহবান জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, গত বছর এডিবি ও জিওবি’ অর্থায়নে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ-খিরণশাল বাজার-মিতল্লা ৫.২৪১ কিলোমিটার সড়ক ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ও কোমাল্লা-আনন্দপুর ৪.৭৪১ কিলোমিটার সড়ক ৯ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে উন্নয়নের জন্য কাজ পায় ঢাকার মিরপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং-ইজি(জেভি)। চুক্তি অনুযায়ী দুটি সড়ক একই বছরের জুনের ৩০ তারিখ কাজ শুরু করে চলতি বছরের নভেম্বরের ২৯ তারিখে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ কাজ হয়নি। উল্টো সড়কের দুইপাশে খোড়াখুড়ি করে ভোগান্তি উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গেছে ঠিকাদার।
ওই সড়কে চলাচলকারী স্কুল শিক্ষক চারোয়ার আলম বলেন, প্রতিদিন এসড়ক দিয়ে দুই বার আসাযাওয়া করি। সড়ক দুইটির ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। গত এক বছর আগে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য দুই পাশে কিছু অংশে খোড়াখুড়ি করে কংক্রিট বিছিয়ে চলে যায় ঠিকাদার। সেই জায়গাগুলো এবারের বর্ষায় মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়।
সিএনজি চালক লাভলু ও ইউসুফ মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ হয়নি। গত বছর কাজ শুরু হলে সবাই খুশি হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরুর কিছুদিন পর ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি আরও দ্বিগুন বেড়েছে। সিএনজিতে যাত্রীরা উঠতে চায় না। জরুরী রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যায় না, গাড়ি উল্টে যায়।
পথচারী বেলাল হোসাইন বলেন, খানা খন্দে ভরা গর্তের কারণে ঠিকমত চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি হলে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। এ সড়কের প্রতি কর্তৃপক্ষের কখন সুদৃষ্টি পড়বে কেউ বলতে পারছে না। তবে শিগগিরই সড়ক সংস্কারের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাই।
মানুষের দুর্ভোগ ও অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্তাধিকারী এনায়েত উল্লাহর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে শনিবার বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোমাল্লা-আনন্দপুর সড়কের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদ বিন আজিম বলেন, ‘নিয়মিত তাগাদা দেয়ার পরও ঠিকাদার আসছে না। সড়কের উন্নয়ন কাজ করছে না।’
এলজিইডির চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক দুইটির সংস্কারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক খরচ না পাওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারছে না। আশা করছি-অতি শিগগিরই সড়ক দুইটির কাজ শুরু হবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩