নিউজ ডেক্স
- ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ / ১৯ বার পঠিত

আবু তাহের, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রবিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্যে তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনই সময় ও সমাজের সীমানা অতিক্রম করেছেন। রবীন্দ্রনাথ পারিবারিক সাহচর্য পেলেও নজরুলকে শৈশব থেকেই সংগ্রাম করতে হয়েছে। সৈনিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, কবি, সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁর অবদান অনন্য। দুই কবির সাহিত্য আমাদের যুগে যুগে অনুপ্রেরণা জোগাবে। শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, নজরুলও একজন বিশ্বকবি।”
রবীন্দ্র বক্তা হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজম বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ছিলেন উদার মানবতাবাদী কবি ও একজন সক্রিয় কর্মী। প্রতিটি যুগে তাঁর সৃষ্টিকর্ম নতুনভাবে আমাদের আলো দেখায়। তাই তাঁকে আমরা আজীবন জীবন্ত রূপেই চর্চা করবো।”
নজরুল বক্তা হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন বলেন, “অন্ধকারাচ্ছন্ন ভারতবর্ষে নজরুলের আবির্ভাব ছিল আলোর প্রদীপের মতো। তিনি ছিলেন পরাধীন দেশের স্বাধীন কবি। মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বিদ্রোহ করেছিলেন। তাঁকে ধারণ করতে পারলে আমরা সমৃদ্ধ হবো।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। সভাপতির বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র-নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. জিল্লাল হোসাইন।
আলোচনা সভা শেষে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ ২০২৩–২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় কিস্তির গবেষণা অনুদানের চেক গবেষকদের হাতে তুলে দেয়। নজরুলের জীবন ও কর্মভিত্তিক গবেষণা প্রকল্পের জন্য মোট ৩৭ জন গবেষককে প্রত্যেককে ২৫,০০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়।