রবিবার, ২২ Jun ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চলতি মাসের ২১দিনে এসেছে ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা রেমিট্যান্স হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টা: জামিন পেলেন রিয়া মনিসহ দুজন মানববন্ধন প্রতিবাদের মুখে রেলওয়ে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত ‎মিরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত আহত ২ মা, নানা ও দাদীর পর নাতিরও মৃত্যু, আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নবজাতক মারা গেছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ও গবেষণায় অবহেলা করবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে এন সি পি সরকার গঠন করবে, পাবে ৩০০ আসন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নওগাঁর বদলগাছী কৃষক দলের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় কয়েকটি পরিবার হাজারীবাগের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে একটানা ৩৭ ঘণ্টা উড়ে ইরানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের বিক্ষোভে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ইরান এখনই শান্তি স্থাপন না করলে আরও বড় হামলা হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ফোরদো পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে, দাবি ট্রাম্পের

বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় কয়েকটি পরিবার

মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ঠাকুরগাঁওঃ

বাঁশের তৈরি বিভিন্ন উপকরণকে জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ার গুটি কয়েক পরিবারের কিছু মানুষ। এই বাঁশই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পন্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাশঁশিল্প। বাঁশের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি।

গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যাবহার করলেও, এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা সেই চিত্র। এরপরেও উপজেলার গুটি কয়েক পরিবারের মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেঁতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

বর্তমানে সল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়াতে কদর বেড়ে যাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর তেমন নেই।

অন্যদিকে বাজারগুলো দখল করে রেখেছে প্লাস্টিক, এলুম্যানিয়াম, স্টিলসহ বিভিন্ন দ্রব্য। তাছাড়াও প্লাস্টিক ও অন্যান্য দ্রব্যের পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ এখন সেগুলোর ওপর।

এছারাও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে করা দামে বাশঁ ক্রয় করে আনতে হয় বিভিন্ন হাট বাজার থেকে।

তৈরিকৃত পন্য নিজেদের ব্যাবহারের পাশাপাশি, বাজারে বিক্রি করে চলতো তাদের জীবন-যাপন। তবে এখনও গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশের তৈরি কুলা, চালুন, খাঁচা, মাচাং, মই, চাটাই, ঢোল, গোলা, ওড়া, বাউনি, ঝুঁড়ি, ডুলা, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, মাথাল, বইপত্র রাখার র‌যাকসহ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বসে আছেন এ পেশার কারিগররা।

প্রতিদিন তাদের তৈরি কিছু পণ্য বাজারের সপ্তাহের দুইহাট সহ গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ফেরি করলে, কিছু সৌখিন মানুষ আছে তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তরি-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা। এভাবেই তাদের জীবন-জীবিকা চলে। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমুলের দাম বেশি হওয়ায়, স্বল্প আয়ের এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩