মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের ‘হত্যা’র বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা শিবচরে ব্যাংক গ্রাহকের টাকা চুরি, হাতেনাতে ধরা পড়লো চোর নলছিটিতে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চুনারুঘাটের নালুয়া চা বাগানে ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা পালন শিক্ষকদের গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা অসহায় রোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন জয়পুরহাট জামায়াত কুবি শিক্ষার্থী হত্যা: মানববন্ধনে বাস দিতে অস্বীকৃতি, প্রশাসনিক ভবনে তালা শিক্ষার্থীদের বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে ববি ছাত্রদলের মাছের পোনা অবমুক্ত শিবচরে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান, জরিমানা ও সরঞ্জাম জব্দ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অসহায়দের পাশে ইউএনও মহোদয় ফ্যাস্টিট শাসনে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করবে বিএনপি-মির্জা ফখরুল কালকিনিতে ভ্যাকসিন সংকট: সাপে কাটা ও কুকুর-বিড়ালের কামড়ে রোগীরা বিপাকে সেমিস্টারের আগের রাতে নিজ বাসায় কুবি শিক্ষার্থী ও তার মা খুন খুবিতে প্রথম বাঁধন অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে TechMind Hackathon 2025 অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে প্রগতি সংস্থার আয়োজনে বাল্যবিবাহ ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষার্থী সমাবেশ ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি খুঁড়লেই সোনা, গুজবে মানুষের ঢল ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-পরিদর্শনে মির্জা ফখরুল বাঘাইছড়ি পৌর শ্রমিক দলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

কাগজে-কলমে এতিম, বাস্তবে নেই, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাহিত্যিক অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন এতিমখানা নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজে-কলমে যেখানে ডজনখানেক এতিমের নাম দেখানো হয়েছে, বাস্তবে সেখানে এতিম শিশু সংখ্যা তার চেয়ে অনেক কম। অভিযোগ উঠেছে, শিশুদের খাদ্য, পোশাক ও শিক্ষার জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া অর্থ আত্মসাত করে অন্য খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানাটিতে ৩৮ জন এতিমের নামে প্রতিবছর প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দ পাওয়া প্রতিটি এতিমের বিপরীতে আরও দ্বিগুণ সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার কথা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিবন্ধিত ৫০ জনের বেশি থাকার কথা থাকলেও নিয়মিত বসবাস করে মাত্র ৮ থেকে ১০ জন শিশু।

প্রতিষ্ঠানের বাবুর্চি জানান, তিনি দৈনিক সর্বোচ্চ ৫-৭ জনের জন্য রান্না করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, “সরকার এতিমদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দেয়, তা দিয়ে কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ, বাবুর্চি ও হুজুরের বেতন দেয়। কিন্তু এতিমদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয় নগণ্য পরিমাণ।”

এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এতিমখানায় কোনো পূর্ণাঙ্গ আবাসন ব্যবস্থা নেই। কাগজে দেখানো হয় সব শিশু এখানেই থাকে ও পড়াশোনা করে, কিন্তু অধিকাংশ সময় ভবন ফাঁকা পড়ে থাকে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানে এতিমের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলোও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “কাগজে দেখানো সংখ্যার তুলনায় বর্তমানে এতিম কম আছে। মাদ্রাসায় ছাত্ররা বেশিরভাগ সময় পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।”

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রকৃত এতিমদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩