বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে গোপালনগর মহিলা মাদ্রাসার নবীন বরণ ও মা সমাবেশে অনুষ্ঠিত ছাতিমের বুনো সৌরভে মুখরিত ববি ক্যম্পাস মাঠে গড়াল কুবি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ কুড়িগ্রামে একসাথে ২২ জন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ইলিশর রক্ষায় ১৫ জেলের কারাদন্ড ও জাল জব্দ শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কালাইয়ে মানববন্ধন খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ রংপুরসহ আট বিভাগকে প্রদেশ ঘোষণার দাবি কুকসু’র গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সময়সীমা বাড়লো আরও ১০ কার্যদিবস চৌদ্দগ্রামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় শিক্ষক নেতার বিদায় অনুষ্ঠানে যায়নি আমন্ত্রিত অতিথি কিশোর গ্যাং লিডার ও জুয়াড়ি মিলন গ্রেপ্তার জাবির ভাসানী হলে ১৬ রুমের দেয়াল সংস্কার সম্পন্ন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের পবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে সাইদুর-জাফরিন চুনারুঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত আমতলীতে দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ট্রেজারার ভবন ‘কাজী কুঞ্জ’ উদ্বোধন তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রাজাপুরে সেলিম রেজা’র পক্ষ থেকে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কুবি শাখার নেতৃত্বে মাসুম-সাইদুল

বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় কয়েকটি পরিবার

মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ঠাকুরগাঁওঃ

বাঁশের তৈরি বিভিন্ন উপকরণকে জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছে ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ার গুটি কয়েক পরিবারের কিছু মানুষ। এই বাঁশই বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পন্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাশঁশিল্প। বাঁশের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে।
ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি।

গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যাবহার করলেও, এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা সেই চিত্র। এরপরেও উপজেলার গুটি কয়েক পরিবারের মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেঁতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

বর্তমানে সল্প দামে হাতের নাগালে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়াতে কদর বেড়ে যাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর তেমন নেই।

অন্যদিকে বাজারগুলো দখল করে রেখেছে প্লাস্টিক, এলুম্যানিয়াম, স্টিলসহ বিভিন্ন দ্রব্য। তাছাড়াও প্লাস্টিক ও অন্যান্য দ্রব্যের পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ এখন সেগুলোর ওপর।

এছারাও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে করা দামে বাশঁ ক্রয় করে আনতে হয় বিভিন্ন হাট বাজার থেকে।

তৈরিকৃত পন্য নিজেদের ব্যাবহারের পাশাপাশি, বাজারে বিক্রি করে চলতো তাদের জীবন-যাপন। তবে এখনও গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশের তৈরি কুলা, চালুন, খাঁচা, মাচাং, মই, চাটাই, ঢোল, গোলা, ওড়া, বাউনি, ঝুঁড়ি, ডুলা, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, মাথাল, বইপত্র রাখার র‌যাকসহ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বসে আছেন এ পেশার কারিগররা।

প্রতিদিন তাদের তৈরি কিছু পণ্য বাজারের সপ্তাহের দুইহাট সহ গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ফেরি করলে, কিছু সৌখিন মানুষ আছে তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তরি-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা। এভাবেই তাদের জীবন-জীবিকা চলে। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমুলের দাম বেশি হওয়ায়, স্বল্প আয়ের এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩