মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
বিরামপুরে রোড ডিভাইডারে নতুন স্ট্রিট লাইট, নিরাপদ সড়কে খুশি স্থানীয়রা নাসিরনগরে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বাঘাইছড়িতে বিএনপির ব্যাপক পদযাত্রা, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ল্যাম্পি স্ক্রিণ রোগে গরু মরার হিড়িক, দুশ্চিন্তায় খামারীরা চায়না দূতাবাসের সাথে চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জাবি ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল রাজাপুরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিম রেজার পক্ষে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত কুবি আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ কুয়াকাটা পশ্চিম বেরিবাঁধ: জনগণের টাকায় দুর্নীতির কার্পেট দোয়ারার গ্রামাঞ্চলে থামছে না মাদকের আড্ডা জয়পুরহাটে নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ঝালকাঠি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ শামীম তালুকদারের বহিষ্কারাদেশ অবশেষে প্রত্যাহার নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে এশিয়ার বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮৭ পরিবারের মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ ঝালকাঠিতে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কালকিনিতে হাতপাখার প্রার্থী মাওলানা আজিজুল হকের গনসংযোগ অনুষ্ঠিত কুবিতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ উদ্যোক্তা মেলা টানা ষষ্ঠবার শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা শ্রীবরদীতে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসুচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জাবিতে নবাগত ৫৪ ব্যাচের প্রবেশিকা অনুষ্ঠিত

নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে এশিয়ার বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল

মাহবুব হাসান, নলছিটি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে সুগন্ধা নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল এক সময়ের এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মোহাম্মদীয়া অয়েল এ্যান্ড রাইচ মিল। ব্রিটিশ আমলে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী আমিন আনোয়ার নলছিটির কল বাড়ি এলাকায় কয়েক একর জমি ক্রয় করে এই মিল গড়ে তোলেন। স্থাপনার সময় মিলটি এশিয়ার বৃহত্তম হিসেবে খ্যাতি পায়।

মিলটির কারণে নলছিটি ও ঝালকাঠিতে বাণিজ্যের এক নতুন যুগ শুরু হয়। চাল, ডাল, সুপারি, লবণ, নারিকেল ও তেতুলের জন্য অঞ্চলটি বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ভারতের কলকাতার বড় ব্যবসায়ীরা নলছিটিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে যুক্ত হন। এই কারণে নলছিটিকে তখন ‘দ্বিতীয় কলকাতা’ বলে অভিহিত করা হতো।

বৃটিশ শাসনামলে নলছিটিতে সদর দপ্তর স্থাপন এবং ১৮৬৫ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় হিন্দু, মগ ও চীনা ব্যবসায়ীরা নলছিটিতে আসা-যাওয়া করতেন, আর ষ্টীমার ঘাটের নির্মাণে বাণিজ্যিক সুবিধা আরও বৃদ্ধি পেত।

প্রবীণদের কথায়, তিন শতাধিক তৈলের ঘানি ও অটো রাইচ মিল চালু থাকাকালে নলছিটির কয়েক মাইল পর্যন্ত মিলের কম্পন অনুভূত হতো। মিলের হুইসেল ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যেত।

স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক কারণে মিলটি তার পুরোনো জৌলুশ হারাতে থাকে। মূল মালিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সরকারের পাওনা পরিশোধে গড়িমসির কারণে অনেকেই মিলটি ত্যাগ করে চলে যান। বর্তমানে মিলটির অতীত গৌরব ইতিহাসের অংশ হিসেবে শুধু স্মৃতিতে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

মিলটির ইতিহাস নলছিটির অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী হিসেবে এখনও স্থান করে রেখেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩