সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-পরিদর্শনে মির্জা ফখরুল বাঘাইছড়ি পৌর শ্রমিক দলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুর-৩ আসনের ইতিহাস রক্ষায় ৯নং ওয়ার্ডবাসীর আন্দোলন কাগজে-কলমে এতিম, বাস্তবে নেই, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ি বাঁধে মৎস্য চত্বর উদ্বোধন বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে রোভার স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা মাদারীপুরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে কৃষক দলের আলোচনা সভা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে কুড়িগ্রামে জাতীয় যুব শক্তির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ এর কমিটি গঠন কুয়েটে সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব গ্রহণ করল ৮ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ফেডের জন্য স্বাধীন পর্যালোচনা দাবি করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী কালকিনিতে জামায়াতে ইসলামী শাখার উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে র‍্যালি ক্লিন ইমেজধারী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মনোনয়নের আশ্বাস দিলেন জাতীয় পার্টি ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কুবিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালিত আবাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে আলোকিত সংগঠন সম্মাননা অনুষ্ঠিত সুন্দরবন থেকে বনদস্যু বাহিনীর ৪ সদস্য আটক নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করে ছিনতাই

কাগজে-কলমে এতিম, বাস্তবে নেই, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাহিত্যিক অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন এতিমখানা নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজে-কলমে যেখানে ডজনখানেক এতিমের নাম দেখানো হয়েছে, বাস্তবে সেখানে এতিম শিশু সংখ্যা তার চেয়ে অনেক কম। অভিযোগ উঠেছে, শিশুদের খাদ্য, পোশাক ও শিক্ষার জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া অর্থ আত্মসাত করে অন্য খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানাটিতে ৩৮ জন এতিমের নামে প্রতিবছর প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দ পাওয়া প্রতিটি এতিমের বিপরীতে আরও দ্বিগুণ সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার কথা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিবন্ধিত ৫০ জনের বেশি থাকার কথা থাকলেও নিয়মিত বসবাস করে মাত্র ৮ থেকে ১০ জন শিশু।

প্রতিষ্ঠানের বাবুর্চি জানান, তিনি দৈনিক সর্বোচ্চ ৫-৭ জনের জন্য রান্না করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, “সরকার এতিমদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দেয়, তা দিয়ে কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণ, বাবুর্চি ও হুজুরের বেতন দেয়। কিন্তু এতিমদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয় নগণ্য পরিমাণ।”

এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এতিমখানায় কোনো পূর্ণাঙ্গ আবাসন ব্যবস্থা নেই। কাগজে দেখানো হয় সব শিশু এখানেই থাকে ও পড়াশোনা করে, কিন্তু অধিকাংশ সময় ভবন ফাঁকা পড়ে থাকে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানে এতিমের সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলোও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “কাগজে দেখানো সংখ্যার তুলনায় বর্তমানে এতিম কম আছে। মাদ্রাসায় ছাত্ররা বেশিরভাগ সময় পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।”

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রকৃত এতিমদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩