মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ও ছানা ধ্বংসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোবারেক ফকিরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে তাকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গুয়াটন গ্রামের মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পাশের একটি সরকারি সড়কের তালগাছ বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। কিন্তু ওই তালগাছটি মোবারেক আলী ফকির মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করলে, সেটি কেটে ফেলা হয়। এতে প্রায় ৫০০-রও বেশি বাবুই পাখির ছানা ও ডিম ধ্বংস হয়ে যায়। এলাকাবাসীর ভাষায়, “এটা ছিল শুধু একটি গাছ নয়, একটি জীবন্ত প্রাণের গ্রাম।” এ নির্মমতার প্রতিবাদে স্থানীয়রা মানববন্ধন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তারা বলছেন, “যারা এই কাজ করেছে, তারা শুধু প্রকৃতির নয়, মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ করেছে।”
ঘটনার পর বন বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা বন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।”
পরিবেশবিদদের মতে, বাবুই পাখি বাংলাদেশের এক অত্যন্ত উপকারী ও সংরক্ষিত প্রজাতি। তাদের বাসা তৈরির শিল্প-নৈপুণ্য ও সামাজিক আচরণ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
এ ধরনের বর্বর ঘটনা শুধু জীববৈচিত্র্য ধ্বংস নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তালগাছ কাটায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
সচেতন মহল দ্রুত তাদেরও গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩