সোমবার, ২৩ Jun ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চলতি মাসের ২১দিনে এসেছে ২৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা রেমিট্যান্স হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টা: জামিন পেলেন রিয়া মনিসহ দুজন মানববন্ধন প্রতিবাদের মুখে রেলওয়ে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত ‎মিরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত আহত ২ মা, নানা ও দাদীর পর নাতিরও মৃত্যু, আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নবজাতক মারা গেছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ও গবেষণায় অবহেলা করবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে এন সি পি সরকার গঠন করবে, পাবে ৩০০ আসন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নওগাঁর বদলগাছী কৃষক দলের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন বাঁশ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় কয়েকটি পরিবার হাজারীবাগের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে একটানা ৩৭ ঘণ্টা উড়ে ইরানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের বিক্ষোভে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ইরান এখনই শান্তি স্থাপন না করলে আরও বড় হামলা হবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ফোরদো পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে, দাবি ট্রাম্পের

বৃষ্টির মধ্যেই ঢালাই, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়াঃ

নাসিরনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত নাসিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজের মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী, সামান্য পরিমাণে সিমেন্ট ও বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ চলায় দ্রুতই নষ্ট হয়ে যেতে পারে নির্মাণকাজের মান। সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির মধ্যেই চলছে ঢালাইয়ের কাজ। পানি জমে আছে নির্মাণস্থলে, তবু কাজ বন্ধ না রেখে চলছে ঢালাই, যা প্রকৌশলগতভাবে অনুচিত ও ঝুঁকিপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় পৃষ্ঠ শুকনো ও পরিষ্কার থাকা আবশ্যক। বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই করলে কংক্রিটের মিশ্রণে পানি অতিরিক্ত ঢুকে যায়, ফলে কাঠামোর মান কমে যায় এবং ভবিষ্যতে ফাটল ও ধসের আশঙ্কা থাকে।

পাশেই অবস্থিত নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও দেখা যায় একই চিত্র, বৃষ্টির মধ্যেই চলছে পার্কিং টাইলস ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।সেখানেও দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো ব্যাক্তির উপস্থিতি দেখা যায়নি।

স্থানীয় এক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উপরে চাপ রয়েছে কাজ শেষ করার। ফলে প্রকৌশলগত নিয়ম না মেনে বৃষ্টিতেও কাজ করতে হচ্ছে।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, শুধু এই প্রকল্পই নয়, অতীতে একই ধরণের অনিয়ম একাধিকবার ঘটেছে। প্রয়োজনীয় তদারকির অভাব এবং জবাবদিহিতার ঘাটতি থাকার কারণে এমন পরিস্থিতি বারবার তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩