রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরস্কের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কুবির সমঝোতা স্মারক চুক্তি বর্ণাঢ্য আয়োজনে নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত মাদারীপুর-৩ আসনে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান মাওলানা এস. এম. আজিজুল হকের ডিসি অফিসের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে লালমনিরহাটে হরিজন সম্প্রদায়ের মানববন্ধন রাজবাড়ীতে ননদের কামড়ে ছিড়ে গেলো ভাবীর ঠোঁট গোয়াইনঘাটে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সমর্থনে গণসংযোগ ও আনন্দ মিছিল ঝিনাইদহে উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপড়ে ফেলা হলো বট গাছ অব্যাহতি প্রত্যাহার করে হুমায়ুন কবিরকে পুনর্বহাল করল জেলা বিএনপি মওলানা ভাসানী হলে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ–২০২৫ উদ্বোধন নালিতাবাড়ীতে আজ মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে চৌদ্দগ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগাম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব কিশোরগঞ্জের সভাপতি মাহিন,সম্পাদক ওয়াজিব জামায়াত কৃষ্ণ নন্দীকে প্রার্থী দিয়ে সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা করেছে- মাওলানা আবদুল হালিম খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যায় আচরণের শাস্তি দিল্লিতে বসে ভোগ করছেন শেখ হাসিনা- কাজী নাহিদ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির দায়ে জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার জাবিতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মওলানা ভাসানী হলে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই ঢাকায় আসবে কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স বুড়ি তিস্তা খননের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মশাল মিছিল ঘোড়াঘাটে বিদায়ী ওসির সঙ্গে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নালিতাবাড়ীতে আজ মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে

রণবীর সরকার, শেরপুর প্রতিনিধি:

আজ ৭ ডিসেম্বর, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে নালিতাবাড়ীকে হানাদারমুক্ত করেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ীতে টানা দুই দিন দুই রাত সরাসরি যুদ্ধের পর বিজয় অর্জিত হয়। সেই স্মৃতি আজও মানুষের হৃদয়ে ভাস্বর হয়ে আছে।

এদিন পাক হানাদার বাহিনী বর্তমান উপজেলা পরিষদ, রামচন্দ্রকুড়া ফরেস্ট অফিস, হাতিপাগার বিডিআর ক্যাম্প, তিনআনী ও আহাম্মদনগরে শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালায়।

স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে নারী-পুরুষসহ অসংখ্য মানুষ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ হারান।

টানা দুই দিন দুই রাত গুলিবর্ষণের পর ৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর জঙ্গি বিমান দিয়ে বোমাবর্ষণের পরিকল্পনা করা হয়। তবে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা আক্রমণ কিছুটা শিথিল করেন। এই সুযোগে উপজেলা সদরের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত আল বদর ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। সারারাত এলাকায় আর কোনো তৎপরতার শব্দ শোনা যায়নি। আতঙ্কগ্রস্ত এলাকাবাসী অপেক্ষা করতে থাকেন কখন ভোর হবে।

অবশেষে ৭ ডিসেম্বর পূর্বদিগন্তে সূর্যের লাল আভা ফুটে উঠতেই মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত করে এলাকায় প্রবেশ করেন। ক্রমেই সেই স্লোগানের আওয়াজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কেটে যায় মানুষের দীর্ঘদিনের ভয় আর শঙ্কা।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে সর্বস্তরের মানুষ। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী এগিয়ে যায় সামনের দিকে, পিছু হটে হানাদার বাহিনী। শত্রুমুক্ত হয় নালিতাবাড়ী। উড়তে থাকে লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীন হয় সোনার বাংলাদেশ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩