বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
“ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না” বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের লকডাউন ও নাশকতার প্রতিবাদে এনায়েতপুরে জামায়াতে ইসলামীর মহড়া জাবিতে বাড়ানো হলো বিভাগ ভিত্তিক আসন সংখ্যা সিলেটে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার চোরাচালান জব্দ জাবির ১৫ নং ছাত্রী হলে নবীনবরণ, হল সংসদ অভিষেক ও বিদায় সংবর্ধনা কুবির বিজয়-২৪ হলে বিতর্ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির প্রতিবাদে, কুমিল্লা জেলা জাতীয় ছাত্র শক্তি “মশাল মিছিল” বিলাইছড়ি’র ভোরের কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা দুপুর আড়াইটায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীতে বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৮তম জন্মবার্ষিকী নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘোষণার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল অবহেলা আর কষ্টের প্রতিচ্ছবি: পটুয়াখালী কলাপাড়া হাসপাতালের এক অসহায় জীবন মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান ইন্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ নারী ভোটারদের নিয়ে মফিকুল হাসান তৃপ্তির প্রাণবন্ত উঠান বৈঠক পায়রা নদীতে ১৮ কেজির বিশাল পাঙ্গাসে চমক কুবির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেজর ইকবাল গ্রেপ্তার বান্দরবানে বন বিভাগের অভিযানে ট্রাকভর্তি অবৈধ কাঠ জব্দ

জাবির ১৫ নং ছাত্রী হলে নবীনবরণ, হল সংসদ অভিষেক ও বিদায় সংবর্ধনা

আমির ফায়সাল, জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫নং ছাত্রী হলে নবীনবরণ, হল সংসদ অভিষেক ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় হলটির কমনরুমে হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ মোহনার সঞ্চালনায় প্রগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উপহার প্রদান, হল সংসদে নির্বাচিতদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

হলের সহ-সভাপতি শারমিন খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর আমাদের ১৫নং ছাত্রী হলে প্রথমবারের মতো নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান হচ্ছে—এটা সত্যিই আনন্দের। এই আয়োজনটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রভোস্ট শামীমা নাসরিন জলি ম্যাডামের জন্য—উনাকে ধন্যবাদ জানাই । হল সংসদ, শিক্ষকবৃন্দসহ যারা কষ্ট করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। সিনিয়রদের বিদায় আমাদের কষ্ট দেয়, কিন্তু তাদের বিদায় দিতে পারাও গর্বের। নতুন যারা এসেছে, তাদের জন্য এটা নতুন যাত্রা। সবাই ভালো থেকো, একে অপরের পাশে থেকো। আমরা একসাথে হলে একটা পরিবার, সেই পরিবার যেন আরও সুন্দর হয়—এই কামনা রইল।

ইতিহাসে বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নিশাত আঞ্জুম বলেন, ক্যাম্পাস ইউটিউবে একবার দেখা হয়েছিল অনেক সুন্দর একটি ক্যাম্পাস। অবশেষে জাবিতে চান্স পেয়ে ভর্তি হতে পেরেছি। আর হল নিয়েও অনেক স্মৃতি হয়ে গেছে। কোনো একদিন সুযোগ করে স্মৃতিচারণ করবো। আমার জন্য দোয়া রাখবেন। আমি যেন সামনের দিনগুলো অনেক ভালোভাবে কাটাতে পারি।

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রসায়ন বিভাগের ৪৮ তম ব্যাচের ফারজানা আক্তার বলেন, একজন জাবিয়ান হিসেবে আমি নিজের নামের সাথে জাবিয়ান শব্দটা যুক্ত করতে পারি, সেদিন থেকেই গর্ববোধ করি। ক্যাম্পাস নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে, অনেক স্মৃতি জমে আছে। ধন্যবাদ হল সংসদকে এবং হল কর্তৃপক্ষকে, যে প্রথমবারের মতো হলে একটা বিদায় অনুষ্ঠান এবং নবীন বরণের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। আশা করি, যে এই আয়োজনটা প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আজ ১৫নং ছাত্রী হলের অভিষেক, নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান একসাথে হচ্ছে—এটা সত্যিই আনন্দের বিষয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এমন আয়োজন করতে পেরে আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। এই আয়োজন সফল করার জন্য প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীমা নাসরিন ম্যামকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এছাড়া হল সংসদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সকল সহযোগীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের সিনিয়রদের বিদায় কষ্টের হলেও, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিতে পারা একটা গর্বের বিষয়। নতুন যারা এসেছে, তাদের জন্য এটি সুন্দর সূচনা—তোমরা গর্বিত হতে পারো। সবাই ভালো থেকো, একসাথে আমাদের হলটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে চাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আজকের এই সুন্দর অনুষ্ঠানে এসে সত্যিই ভালো লাগছে। বিদায় নেওয়া শিক্ষার্থীদের বলবো—এটা আসলে বিদায় না, নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার শুরু। তোমরা এখন দেশ ও পরিবারের জন্য কাজ করার মতো প্রস্তুত। যারা নতুন এসেছো, তাদের বলবো—এই সময়টাই তোমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, একে ঠিকভাবে কাজে লাগাও। সময়ের মূল্য বুঝো, কারণ সময়ই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু আর সবচেয়ে কঠিন শত্রু। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো হওয়ার সুযোগও আছে, আবার ভুল পথে যাওয়ারও; কোনটা নেবে, সেটা তোমাদের সিদ্ধান্ত। আমরা চেষ্টা করছি যাতে তোমরা নিরাপদে, স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারো। সবাই সুস্থ থাকো, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো, আর ভালো মানুষ হয়ে উঠো — এইটুকুই আমার আশা।

অনুষ্ঠানের শেষে সমাপনী বক্তব্যে হলের প্রাধ্যক্ষ ও পদাধিকারবলে হল সংসদের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন জলি বলেন, ২৪এর পর পরিবর্তনটা এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আর প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা স্যারদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। তোমরা যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছ, তোমাদের দায়িত্ব জাবির সব কলঙ্ক মুছে ফেলা। জীবনে যা-ই আসুক, সর্বাবস্থায় “আলহামদুলিল্লাহ” বলতে শেখো। শেষ কথা—আমরা সবাই একটা পরিবার। সবার খোঁজ রাখবে, সহানুভূতি নয়, সহমর্মিতা দেখাবে। আমি যতটুকু পারি, পাশে থাকব। আমার জন্য দোয়া কর।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম, জুলাই যোদ্ধা অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী, জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, নারী এজিএস আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, নারী সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফারহানা আক্তার লুবনা, হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও হলের অন্যান্য অংশীজন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩