বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
মো: জিসান রহমান, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১১ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবাদ মেলার প্রথম দিনেই উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরবার হলে প্রতিদিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে মেলা ঘুরে শিক্ষার্থীদেরও কয়েকটি স্টল দেখা যায়। সেখানে তারা নানা মুখরোচক খাবার যেমন আচার, বার্গার, কফি (হট ও কোল্ড), পিৎজা, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি বিক্রয় করছেন। এছাড়াও মেলাতে বহিরাগত বিক্রেতারা চুরি, ফুলদানি, ক্লিপসহ নানা দ্রবাদি নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন।
মেলাতে কেউবা হাতে নকশা করছেন, কেউবা প্রিয় মানুষকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন। এ ছাড়া মেলায় টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপিসহ নানা মিষ্টি বিক্রয় করছেন। মেলায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের আনোগনায় প্রাণচ্ছোল পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় সকলের জন্য নানা রাইড যেমন, দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসল, নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড রয়েছে। মেলার অন্যদিকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ বিজয়াঙ্গণে মাওলানা ভাসানীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতেও নানা বয়সীদের লক্ষ্য করা যায়। এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো তালের তৈরি টুপি। যা প্রায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। এই টুপির নাম হচ্ছে ভাসানী টুপি।
মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় মেলা ও জনপ্রিয় এই ভাসানী মেলা। আমরা সপরিবার এই মেলাতে এসেছি। মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি কিনেছি দুই ডজন, ছোট ভাইয়ের জন্য খেলনা বন্দুক কিনেছি, নাগরদোলায় ওঠেছি। সব চেয়ে ভালো লেগেছে এউ মেলায় কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ফটকের চারপাশে শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। ছোট-বড় নানা খাবার-খেলনার দোকান, গহনা, প্রসাধনীর দোকান সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত।
মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান জানান, সব মিলে এক অসাধারণ এক সময় কাটিয়েছি এই ভাসানী মেলায়। আমরা চাই প্রতি বছর এভাবেই মেলা হোক। সারাদেশ থেকে সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নানা রকমের স্টল দিয়েছে, দেখে আরও ভালো লাগছে। গতবছরের মত এবারও বড় পরিসরে মেলার আয়োজন হয়েছে।
ভাসানী মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: ইমাম হোসেন জানান, মেলার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আশা করছি সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
১৭ই নভেম্বর মিলাদ ও দোয়া মাহমিলের মাধ্যমে এই ভাসানী মেলার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩