শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে বিন্দু মাত্র আপোশ নয়ঃ সারজিস আলম দেশে সুষ্ঠ গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না করলে আরও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের বৃষ্টিতে ডুবেছে শহর, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে শহরবাসী ঝালকাঠিতে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ দুই কিশোর আটক দেশের ৯ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস মাভাবিপ্রবি ঘাটাইল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে রাকিব-উদয় শিবগঞ্জে ৭ মাসের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু: পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত হত্যা রাজাপুর সরকারি কলেজে ক্যারিয়ার কর্মশালা: মহৎ জীবনের পথে অনুপ্রেরণার আলো ছড়ালো শিক্ষার্থীদের মাঝে মাভাবিপ্রবি সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের নেতৃত্বে নাইম – বাগচী ‎ সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ মহালছড়িতে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা শুরু একটি পরিবার দেওয়াল তুলে রাস্তা বন্ধ করায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন আদালতের কাঠগড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে যৌতুক মামলার বাদী গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী

স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে ও জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটা একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাশে যাবে, ক্লাশ থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসের মধ্যে তরুণ ছাত্রের লাশ পড়ছে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সব বিরোধীদলীয় যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে? গত পরশুদিন রাত ১২টার সময় ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। কী অন্যায় করেছিল সাম্য! আমার তো মনে হয় এখানে রাজনৈতিক কারণ আছে। তিনজন ভবঘুরে  সাম্যকে কেন হত্যা করবে? কয়েকদিন আগে সে ফেসবুকে শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের জন্য একটা আন্দোলন চলছিল। তার বিরুদ্ধে এবং জাতীয় সংগীতের পক্ষে একটা পোস্ট করেছে। এটাই কি সেই কারণ?

এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সব বিরোধীদলীয় যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা সমর্থন করেছেন। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে?

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়। অর্থাৎ দেশের পক্ষে, যারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, যারা জাতীয় সংগীতের পক্ষে তাদের জীবন চলে যায়। আমি এজন্যই বলেছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আপনারা ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন। ভবঘুরেদেরকে গ্রেফতার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। মানুষ সহজভাবে নিত যদি, সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু সেটা তারা নেয়নি। যেমন আবরার হত্যাকাণ্ডে নেয়নি, তেমনি আরও ঘটনার বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়নি। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসিনা নেই, দোসররা নেই, রক্তপাত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারপরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে তফাজ্জল নামে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাস হবে শান্তি, এখানে থাকবে শান্তির পতাকা। সেখানে কেন রক্তপাত হবে। এটা তো হওয়ার কথা নয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩