বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেতন দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় বেতন দিতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংক ৫৫ কোটি টাকা ঋণ ছাড় করে। যদিও জনতা ব্যাংকে গ্রুপটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকাই এখন খেলাপি।
এ ছাড়া ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার রপ্তানি আয় দেশে আনছে না গ্রুপটি। বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা। বর্তমানে তিনি কারাবন্দী।
বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা এখন আবার বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এমন সময় গ্রুপটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অধীনে গঠিত ‘সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠান প্রোফাইলিং তৈরিবিষয়ক কমিটি’। এতে গ্রুপটির কারখানা পরিচালনায় ও শ্রমিকদের বেতন দিতে নতুন করে ঋণসুবিধা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের দেওয়া তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে এটিই সুপারিশ পেয়েছে। বেক্সিমকোর প্রাপ্ত মুনাফার পুরোটাই জনতা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বেক্সিমকোর প্রস্তাব
কমিটির সুপারিশ
বেক্সিমকোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠান প্রোফাইলিং তৈরি বিষয়ক কমিটি’ কারখানাগুলোয় কর্মসংস্থান ও তাদের রপ্তানি আয় এবং বকেয়া ব্যাংক ঋণ আদায়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে কোম্পানিটিকে চালু রাখার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে, জনতা ব্যাংকের দেওয়া ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকার ঋণ সুদবিহীন ব্লকহিসাবে স্থানান্তর করে কোম্পানি চালু রেখে বেক্সিমকোর ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা যায়। বেক্সিমকোর প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকা বাজার মূল্যের সম্পত্তি বন্ধক রাখার প্রস্তাবের বিপরীতে কোম্পানিকে ৬০০ কোটি টাকা ফান্ডেড ও ৪০০ কোটি টাকা নন–ফান্ডেড নতুন রপ্তানি ঋণ দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে কমিটি। এই ঋণ দেওয়া হলে নতুন রপ্তানি করা ঋণসুবিধার ৬০০ কোটি টাকা থেকে শুধু শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন ও কোম্পানির পরিচালন ব্যয় হিসেবে নির্বাহ করার শর্ত দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কোম্পানিটি চালু থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত মুনাফা থেকে জনতা ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ আগের ঋণের দায় পরিশোধ করা যেতে পারে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩