বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সোহাগ সাব্বির, কলাপারা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, কুয়াকাটা পশ্চিম বেরিবাঁধ এটি শুধু একটি বাঁধ নয়, এটি সমুদ্রের সঙ্গে উপকূলীয় মানুষের জীবন-জীবিকার লড়াইয়ের শেষ ভরসা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার অঙ্গীকার। কিন্তু সেই আশা এবং ভরসার প্রতীক
কুয়াকাটা পশ্চিম বেরিবাঁধের নির্মাণ কাজ নিয়ে এখন ঘোর অন্ধকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনগণের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বেরিবাঁধে চলছে নজিরবিহীন দুর্নীতি, যেখানে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র এবং পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বেরিবাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগটি খুবই গুরুতর। কাজের স্পেসিফিকেশন (নিয়ম) অনুযায়ী, বাঁধের ভিত্তিস্তর বা বেস লেয়ার কমপক্ষে ৪ পুরু হওয়ার কথা ছিল। অথচ মাঠপর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, সেখানে মাত্র ১ ইঞ্চির মতো পাতলা কাজ করা হয়েছে, যা সহজেই ভেঙে উঠে যাচ্ছে।
এটি শুধু নিম্নমান নয়, এটি উপকূলের মানুষের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি প্রতারণা।ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা। প্রশ্ন উঠেছে, জনগণের স্বপ্ন গড়ার নামে কেউ কি সেই স্বপ্নে বড় ধরনের ছিদ্র তৈরি করছে?
কুয়াকাটা শুধু দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি হাজারো উপকূলবাসীর “হৃদয়”। এই হৃদয়ে যদি কোনো ক্ষত তৈরি হয়, ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময় এই দুর্বল বেরিবাঁধ যদি ভেঙে যায়, তার দায়ভার কে নেবে, প্রশ্ন স্থানীয়দের মনে।
স্থানীয়দের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট— এই বেরিবাঁধের মান দুর্বল হলে তা শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি মানুষের জীবন এবং সম্পদের জন্য সরাসরি হুমকি।
স্থানীয়দের জোরালো দাবি ৩ দফা আলটিমেটাম এমন পরিস্থিতিতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে একাট্টা হয়েছেন উপকূলবাসী। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ৩টি প্রধান দাবি কঠোর ব্যবস্থা, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বেরিবাঁধের কাজে শতভাগ মানসম্পন্ন কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ অংশ দ্রুত মেরামত করতে হবে।
জনগণের সামনে প্রকল্প ব্যয়ের প্রতিটি টাকার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ হিসাব উপস্থাপন করতে হবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩