বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে চাল ও গম মিলে মোট ২১ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে ৪ আগস্ট গণমাধ্যমকে দেওয়া এক তথ্য বিবরণীতে এ মজুদের কথা জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে সরকারিভাবে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে আরও ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারিভাবে এ বছর ৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ১৯ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় ধান সংগ্রহ ২ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন এবং চাল সংগ্রহ প্রায় ২ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সর্বমোট ৩৩ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে, যা এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সরকারি খাতে প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সরকারি খাতে গম আমদানির উৎস বহুমুখীকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রসহ আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করা হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারি খাতে গম আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশে খাদ্যশস্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আমদানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্যশস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ লাখ টনেরও বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, এই মজুদকে সন্তোষজনক বলা যাবে না, আবার ঝুঁকিপূর্ণ বলাও ঠিক হবে না। মজুদ আরও বাড়ানো দরকার। এ ব্যাপারে আমাদের বেশ কিছু উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ টন চাল ও গমা কেনার চুক্তি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল কেনার টার্গেট রয়েছে। এ টার্গেট পূরণ হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি আমদানি করা যেসব চাল ও গম পাইপলাইনে আছে, সেগুলো শিগগিরই আমরা পেয়ে যাব। এছাড়া সম্প্রতি বন্যায় ফসলের যে ধরনের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা হয়তো হবে না। এ হিসেবে বলা যায়, এ বছর দেশের খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ভালো।
গত ৯ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে। অপরিশোধিত চিনির আমদানি খরচ প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা এবং পরিশোধিত চিনির খরচ ১৪ টাকা ২৬ পয়সা কমানো হয়। সুত্রঃ বাসস
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩