সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
৭ ঘণ্টা পর বনানীর সড়ক ছাড়লেন পোশাকশ্রমিকরা বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার: রিজভী নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি মোঃ শফিউল আযমকে প্রাণ নাশের হুমকি চৌদ্দগ্রামে জেঠার বিরুদ্ধে এতিমের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর অভিযোগ পতিত স্বৈরাচার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে ‘নারীর প্রতি হেনস্তার পেছনে উগ্র গোষ্ঠীর মদদ থাকতে পারে’ অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন জবি সেক্রেটারি গাজায় ফের যুদ্ধের জন্য আইডিএফকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নেতানিয়াহুর এনায়েতপুরে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব মাটি কাটায় বাধা দেয়ায় সমন্বয়ক রাফির হামলায় ছাত্রদল নেতার মাথায় ৯ সেলাই আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন : বিবিসিকে ড. ইউনূস অরক্ষিত চৌদ্দগ্রাম বাজার, নেই বাজার কমিটি প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরির ঘটনা

সীমাহীন জ্বালানির সন্ধান পেয়েছে চীন

সীমাহীন এক জ্বালানির উৎসের সন্ধান পেয়েছে চীন। এই জ্বালানি দিয়ে তারা ৬০ হাজার বছর চলতে পারবে। বেইজিংয়ে ভূবিজ্ঞানীরা এমন দাবি করেছেন।  এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, ইনার মঙ্গোলিয়ায় বায়ান ওবো খনিজ কমপ্লেক্সে পাওয়া গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ থোরিয়াম। এটি এতটা বেশি যে, তা দিয়ে চীনাদের প্রতিটি বাড়িতে ‘চিরদিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

উল্লেখ্য, থোরিয়াম হালকা মাত্রার একটি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ। এটা দিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। এর নাম হবে মল্টেন-সল্ড রিঅ্যাকটর। তা থেকে আসবে অসীম পরিমাণ বিদ্যুৎ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ওই খনি থেকে পুরোটা থোরিয়াম উত্তোলন করা যায় তাহলে তার পরিমাণ হবে ১০ লাখ টন। দ্য সাউথ চায়না পোস্ট প্রকাশিত হয়ে পড়া একটি রিপোর্ট উল্লেখ করে এ তথ্য দিয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই খনিতে থোরিয়ামের উৎস এখন পর্যন্ত অস্পৃশ্য অবস্থায় আছে। এটা যথাযথভাবে উত্তোলন করা গেলে তা সারাবিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ইতি ঘটাবে। গবেষকরা আরো দাবি করেছেন যে, ইনার মঙ্গোলিয়ার একটি লোহার আকরিকের খনি থেকে ৫ বছরে যে বর্জ্য হিসেবে খনিজ পাওয়া যাবে, তাতে যে পরিমাণ থোরিয়াম থাকবে, তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার বছরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। উল্লেখ্য, এই খবরটি এমন এক সময়ে এলো যখন চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার সোর্স সন্ধান করছে। গবেষণায় পুরো চীনে ২৩৩ টি থোরিয়াম সমৃদ্ধ অঞ্চলের সন্ধান মিলেছে। যদি এ কথা সত্য হয়, তাহলে চীনে যে পরিমাণ থোরিয়াম জমা আছে, তা আগের হিসাবকে অনেকটাই ছাড়িয়ে যাবে। প্রচলিত পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩২। তার চেয়ে কমপক্ষে ৫০০ গুণ বেশি থোরিয়াম জমা আছে। ফলে চীনের মুখে হাসির রেখা দেখা দিয়েছে।

পারমাণবিক চুল্লি তেজষ্ক্রিয় পদার্থকে ফিশন বা বিগলন নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকালে ওই তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়, অধিক স্থিতিশীল পদার্থে পরিণত হয়। তার সঙ্গে প্রচুর তাপশক্তি সৃষ্টি করে। এই তাপশক্তিকে ব্যবহার করে স্টিম টার্বাইন চালানো যায়। নিজে থেকে থোরিয়াম বিগলনযোগ্য নয়। এর অর্থ হলো ফিশন প্রক্রিয়ায় একে ব্যবহার করা যায় না। তবে ফিশন বিক্রিয়ার ভিত্তি হিসেবে তা ব্যবহার হয়। এর কারণ হলো থোরিয়াম হলো ‘উর্বর’। এর অর্থ হলো যখন নিউট্রনের সঙ্গে সংঘর্ষে বোমার মতো আচরণ করে তখন থেরিয়াম পরিবর্তিত হয়ে ইউরেনিয়াম- ২৩৩’তে পরিণত হতে পারে। মল্টেন-সল্ড রিঅ্যাকটরে থোরিয়াম মিশ্রিত হয় আরেকটি রাসায়নিক লিথিয়াম ফ্লোরাইডের সঙ্গে এবং তা প্রায় ১৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়। এই মিশ্রণ তারপর নিউট্রনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় যতক্ষণ না কিছু থোরিয়াম পরিবর্তন হয়ে ইউরেনিয়াম-২৩২’তে পরিণত হওয়া শুরু করে। এটা একটি ফিশন বিক্রিয়া। ক্ষয় প্রক্রিয়ায় এই ইউরেনিয়াম তখন অধিক পরিমাণে নিউট্রন তৈরি করে। তা অতিরিক্ত থোরিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বালানিতে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালে পারমাণবিক চুল্লি অসীম পর্যন্ত শক্তি উৎপন্ন করে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩