মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
দাবী না মানলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজপথে নামা হবে- মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কুবিতে মেডিক্যাল সেবা চলবে রাত আটটা পর্যন্ত কুড়িগ্রামে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন কুমিল্লা জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি স্বপন সম্পাদক রাকিবুল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সংঘের নতুন কমিটি গঠন পদ্মায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, ৬ লাখ মিটার কারেন্ট জাল কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দাবিতে মুন্সিগঞ্জে খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি জাবি প্রেসক্লাবের সাথে জাকসু নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ; পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস নাগেশ্বরীতে অ্যানথ্রাক্স বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে অ্যানথ্রাক্স বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ কুয়াকাটায় ভ্যাট কর্মকর্তার আচরণে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু মুন্সিগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে অবৈধ সিগারেট জব্দ ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ দুধকুমারের ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবার বাস্তুহারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অনশন ধর্মঘট খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার নতুন সদস্য আহ্বান

চুনারুঘাটে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে মুখোমুখি শিক্ষক ও শিক্ষা অফিস

এম এস জিলানী আখনজী, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের যৌক্তিক দাবি ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রদত্ত নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে প্রশ্ন প্রণয়নের কাজ করছেন চুনারুঘাট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা। নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করার কথা স্কুল/ক্লাস্টার ভিত্তিক। এর তত্ত্বাবধানে থাকার কথা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

বিগত দিনগুলোতে এভাবেই হয়ে আসছিল। কিন্তু এ বছর চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নিজে প্রশ্ন প্রণয়ন করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। শিক্ষকগণ নীতিমালার আলোকে কাজ করার কথা বললেও তিনি তা আমলে নেননি। নিজ ক্ষমতা বলে তিনি প্রশ্ন প্রণয়ন করতে খরচ করেছেন বিগত যেকোনো সময়ের চাইতে দ্বিগুণ।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ক্লাস্টারের প্রধান শিক্ষকগণকে ফোন করে বলেন, সকল প্রধান শিক্ষকগণ যেনো আগামী রবিবার (১৭ আগস্ট) চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করেন। এবং ১ম ও ২য় শ্রেণির জন্য ৮ টাকা ও ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য ১৫ টাকা হারে চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্ন পত্রের মূল্য পরিশোধ করেন।

বিষয়টি সকল প্রধান শিক্ষকদের জানা হলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যেখানে স্থানীয় ভাবে (হবিগঞ্জ জেলার ভিতরে) দু‘মাস আগেও প্রশ্ন পত্র প্রণয়নে সর্বোচ্চ খরচ হয় ১ম ও ২য় শ্রেণির জন্য ৫ টাকা এবং ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য ৮ টাকা হারে সেখানে ঢাকা থেকে ছাপানো হলে আরও কম খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে দ্বিগুণ বেড়ে গেল কিভাবে? কাগজ কিংবা কালি কোনোটার দামও বাড়েনি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকগণ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জড়ো হন। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা তাদেরকে ৫ টাকা ও ১৫ টাকা হারে প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করতে বললে তারা তাতে আপত্তি জানান। শিক্ষকদের বক্তব্য মতে, যতটা পারা যায় কম খরচে মান সম্মত ক্রয় এবং কাজ করাণোর আদেশ রয়েছে তাদের প্রতি। কোনো কারণ ছাড়াই প্রশ্ন পত্র ব্যয় খরচ দ্বিগুণ দেখানো হলে এর কৈফিয়ত তাদের উপর বর্তাবে। এরই মাঝে ঘটনাস্থলে কয়েকজন সংবাদকর্মী পৌঁছান। শিক্ষকদের কাছে দীর্ঘ সময়ের আলোচনার বিষয় জানতে চাইলে তারা বিস্তারিত খুলে বলেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের সব জায়গাতেই প্রশ্ন পত্র প্রণয়নের খরচ ৮ টাকা ও ১৫ টাকা হারে। শিক্ষকদের আপত্তির কারণে তিনি ৫ টাকা ও ৮ টাকা হারেই প্রশ্ন পত্র দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য উপজেলায় ৮ টাকা ও ১৫ টাকা হারেই নেওয়া হচ্ছে। হবিগঞ্জ জেলার ভিতরে প্রশ্ন পত্র প্রণয়নে করলে ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তাই তিনি ঢাকা থেকে প্রণয়ন করেছেন। তবে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে ফোন করলে তারা বলেন যে তারা ১ম ও ২য় শ্রেণি ৫ টাকা হারে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি ৮ টাকা হারে দিতে তাদের ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন। প্রশ্ন পত্র প্রণয়নের খরচের হিসাব জানতে চাইলে নাজনীন সুলতানা বলেন, এখনো বিল পরিশোধ করা হয়নি।

শিক্ষকগণ আরও বলেন, নাজনীন সুলতানা চুনারুঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদানের পর থেকেই নিয়মিত গড় হাজির থাকেন। সপ্তাহে গড়ে ২দিন অফিস করেন। কোনো কোনো সময় পুরো সপ্তাহেই অনুপস্থিত থাকেন। তিনি বিদ্যালয়ের ¯িøপের বরাদ্দকৃত টাকার চেকে স্বাক্ষর নিতে ৫/১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন (এটিইওদের মাধ্যমে) বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে সিএনজি ভাড়ার কথা বলে টাকা নিয়ে থাকেন। শিক্ষকদের চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য জনপ্রতি মোটা অংকের টাকা নিয়েও দীর্ঘ দিন পার হয়েছে অথচ এখনও স্থায়ীকরণের ২/১টি ফাইল উনার কাছেই পরে রয়েছে। শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডের কাজ করতেও মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবী করেন। এতে শিক্ষকরা ওনার চাহিদামতো বেশী টাকা দিতে না পারায় ফাইল আটকে রাখা হয় । উনার অনেক অনিয়ম সম্পর্কে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, হবিগঞ্জও অবহিত আছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩