মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
কলাপাড়ার পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে ভেলায় ভেসে সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের দাবিতে আমরণ অনশনে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জয়পুরহাটে জনদুর্ভোগ লাঘবে জামায়াতের নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন দুমকিতে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শফিক খান গ্রেফতার সন্দ্বীপে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ইয়াবাসহ গ্রেফতার জয়পুরহাট শহর জামায়াতের উদ্যোগে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত আমতলীতে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ৫৫ হাজার শিশু পাবে বিনা মূল্যে টিকা সন্দ্বীপে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র কারিগর সোহেল মাদকসহ গ্রেফতার সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে পত্নীতলায় মানববন্ধন চরভদ্রাসন থানায় দালালমুক্ত পুলিশি সেবা: ওসিরজিউল্লাহ খানের ঘোষণা সড়কের জায়গা লিজ দেয়ার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বৃষ্টির মধ্যেও জনতার ঢল মরহুমা নার্গিস বেগমের জানাযা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় লজিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাজশাহী ডিভিশনাল কমিউনিটির নতুন কমিটি গঠন বিএনপি নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে মোকামতলা পৌরসভা গঠনের পরিকল্পনা উঠতি মধ্যবিত্ত তরুণরা সব সময় স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন: ফারুক ওয়াসিফ মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাবেক এমপির ছেলে আটক শিবগঞ্জে পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর কঙ্কাল উদ্ধার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আগামী ১৭ আগষ্ট

রামদা হাতে রাজাকার বধ করা সাহসিনী বীরাঙ্গনা সখিনা বেগম আর নেই

 

দিনার, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মৃত্যু বরণ করেছেন । আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখিনা বেগমের ভাগনী ফাইরুন্নেছা আক্তার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের পিতার নাম মৃতঃ সোনাফর মিয়া এবং মাতার নাম মৃতঃ দুঃখী বিবি।

তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এলাকাবাসী এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামের সখিনা বেগম ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে অংশ নিয়ে তিনি একাই রামদা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন সখিনা বেগম। ১৯ অক্টোবর নিকলী উপজেলাকে পাকহানাদার ও রাজাকারমুক্ত করার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে তার বোনের ছেলে মতিউর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন।

অক্টোবরের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বড় ধরনের আক্রমণ চালালে বহু পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ওই অভিযানে সখিনা বেগম একাই রামদা দিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। তার ব্যবহৃত রামদাটি বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নামফলকে বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে।

নারী হয়েও যুদ্ধের ময়দানে সাহসিকতা দেখানোয় ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকার তাকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন। নিঃসন্তান সখিনা বেগম স্বামী-হারা অবস্থায় বরমাইপাড়া এলাকায় খালার বাড়িতে আশ্রিত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিছ আলী ‘জনপদ সংবাদ’ কে বলেন, সখিনা বেগম ছিলেন এক দুঃসাহসিক নারী মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের পরও স্থানীয় অনেক রাজাকার তার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলো। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩