শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
আসন্ন কোরবানি ঈদ গরু বাজার কাঁপাবে ৮০০ কেজির ‘বাদশা ও লালু।’ একসাথে বেড়ে ওঠা ফ্রিজিয়ান বাদশা ও শাহি ওয়াল লালুর মালিক দাম হাঁকিয়েছেন ১৬ লাখ। দেখতে খুব সুন্দর। সর্বোচ্চ ওজন ও সৌন্দর্যে হৈচৈ ফেলেছে এলাকা জুড়ে। খাওয়া এবং গোসল একটু ব্যাতিক্রম হলেই চিৎকার শুরু করে। বাদশা খাইলে লালু খায় আর বাদশা দাঁড়ালে লালু দাড়ায়। একে অন্যের অনুপস্থিতিকে কেউ সহ্য করতে পারে না।
লাল-কালো রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের এ দুটি ষাঁড় দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট। ওজন ২০মন অর্থাৎ ৮০০ কেজি। এদুটি ষাঁড় নিয়ে মালিকের অনেক প্রত্যাশা। ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দিবেন।
জানা গেছে, বাছুর বয়স থেকে দুটি ষাঁড় গরুকে লালনপালন করে আসছেন পৌরসভার রামরয় গ্রামের জান্নাত ডেইরির মালিক সবুজ। আদর করে ফ্রিজিয়ান জাতের কালো গরুটিকে নাম দিয়েছেন বাদশা ও লাল শাহিওয়ালকে লালু। সকাল বিকাল পরম যত্নে খাওয়ান খাবার। দেশীয় গাস ভূষি ও সাইলেজ খেয়ে বড় হয়েছে বাদশা ও লালু। বিশালদেহী এই দুই ষাঁড় দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন উৎসুক জনতা। কোলাহলমুক্ত রাখতে বন্ধ রাখতে হয় খামারের গেট। আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা বাদশা ও লালুর দাম হাঁকানো হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা করে।
জান্নাত ডেইরির মালিক সবুজ জানান, কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে লালন করে মোটাতাজা করা হচ্ছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদে আমার খামারে ক্রেতাদের জন্য প্রস্তত বিভিন্ন জাতের ৫০ গরু। তারমধ্যে ৮০০ কেজির বাদশা ও লালু রয়েছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রতিদিন ১০ কেজি খাবার খাওয়া বাদশা ও লালুকে গোসল করাতে হয় দুই বার।
বাদশা ও লালু সম্পর্কে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন সাগর বলেন, পশুপাখি কথা বলতে পারেনা, কিন্তু তাদের চোখেমুখে আচরণে প্রেম ভালবাসা ফুটে উঠে। পশুর প্রতি পশুর যে টান সেটা আপনি দেখতে পাবেন চৌদ্দগ্রামে জান্নাত ডেইরির গরু বাদশা ও লালুর মাঝে। এরা হচ্ছে বন্ধুবৎসল, একে অপরের অনুপস্থিতি সহ্য করতে পারেনা। একসাথে বেড়ে উঠা এই গরু দুটির বন্ধুত্ব দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩