বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দ হাত জায়গায় বসত মিলেনি খোদেজার,থাকেন অন্যের বাড়িতে চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে পাশ থেকে লাশ উদ্ধার ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বাতিল হচ্ছে আগের ৯টি ধারা ও ৯০ শতাংশ মামলা’’ শাহজাদপুরে পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে সোনাই নদী খননের দাবি কৃষক ও জেলেদের ঐতিহাসিক মহাস্থান মাজার সংলগ্ন বসতি এলাকায় যৌথবাহিনির অভিযান নাটোরের সিংড়ায় চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১জন ফকিরাপুলে সিটিজি ক্রাইম টিভির, নতুন হেড অফিস উদ্বোধন করেন আজগর আলী মানিক মিশরীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইবি উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি আগামীকাল দেশে ফিরছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাবিদ ও সাবেক সিনেটর অধ্যাপক সাজিদ মির আর নেই ড.মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা করায় রংপুরে আমার দেশ পাঠক মেলার মানববন্ধন শ্রীপুরে পুত্রবধুর মামলায় কারাগারে দেবর-শ্বশুর নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই, বরং সংস্কারগুলো সম্পন্ন করা প্রয়োজন চৌদ্দগ্রামে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান; ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বরখাস্ত

পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাবিদ ও সাবেক সিনেটর অধ্যাপক সাজিদ মির আর নেই

লাহোরে শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, শিক্ষাবিদ ও সাবেক সিনেটর অধ্যাপক সাজিদ মির। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার স্পাইন সার্জারি এবং হার্ট বাইপাস অস্ত্রোপচার হয়েছিল, যার পর থেকে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। শনিবার ভোররাতে লাহোরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সামা টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৮ সালের ২ অক্টোবর পাঞ্জাবের সিয়ালকোটে এক ধর্মভীরু কাশ্মিরি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রফেসর সাজিদ মির।  প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মির সিয়ালকোটির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন তিনি।  ১৯৬০ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং ১৯৬৯ সালে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

বিদেশে শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় নাইজেরিয়ায়।  ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসার পর তিনি সক্রিয়ভাবে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের টিকিটে প্রথমবার সিনেটর নির্বাচিত হন। পরে আরও কয়েকবার সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সিনেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সিনেটের নিয়ম-নীতি, সরকারি প্রতিশ্রুতি, প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতেও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

২০০৯ সালে আলেম ও টেকনোক্র্যাটদের জন্য সংরক্ষিত আসনে তিনি পুনরায় সিনেটর নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সপ্তমবারের মতো কেন্দ্রীয় জমিয়ত আহলে হাদীস পাকিস্তানের আমির নির্বাচিত হন — যা দলীয় নেতৃত্বে তার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।

অধ্যাপক মির সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ধর্মীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি পাকিস্তানের ধর্মীয় কূটনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য অমূল্য অবদান রেখেছেন, তিনি ছিলেন একজন নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান নেতা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩