বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে বিজয় দিবসে জামায়াতের বিশাল যুব র‍্যালিতে কেন্দ্রেীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল হালিম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ট্যাগের রাজনীতির তীব্র নিন্দা: চবি ১০১ শিক্ষকের বিবৃতি ধর্মপাশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন চৌদ্দগ্রামে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত কমলনগরে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে মৃত্যুহার কমাতে প্রশিক্ষণ সভা মধ্যনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন ডিমলায় মহান বিজয় দিবস পালিত চারঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত মান্দায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে দুর্বৃত্তদের আগুন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে চবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মাদারীপুরে হাতপাখার মনোনীত প্রার্থীর বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে জয়পুরহাটে গণঅধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন মহিপুুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির র‍্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ চবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা একদিন বাড়ল বর্ণাঢ্য আয়োজনে পবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস পালিত বান্দরবান ঘুরতে যাওয়া হলোনা ইব্রাহিমের, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত, আহত ০১

পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাবিদ ও সাবেক সিনেটর অধ্যাপক সাজিদ মির আর নেই

লাহোরে শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, শিক্ষাবিদ ও সাবেক সিনেটর অধ্যাপক সাজিদ মির। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার স্পাইন সার্জারি এবং হার্ট বাইপাস অস্ত্রোপচার হয়েছিল, যার পর থেকে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। শনিবার ভোররাতে লাহোরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সামা টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৮ সালের ২ অক্টোবর পাঞ্জাবের সিয়ালকোটে এক ধর্মভীরু কাশ্মিরি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রফেসর সাজিদ মির।  প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মির সিয়ালকোটির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন তিনি।  ১৯৬০ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং ১৯৬৯ সালে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

বিদেশে শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় নাইজেরিয়ায়।  ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসার পর তিনি সক্রিয়ভাবে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের টিকিটে প্রথমবার সিনেটর নির্বাচিত হন। পরে আরও কয়েকবার সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সিনেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সিনেটের নিয়ম-নীতি, সরকারি প্রতিশ্রুতি, প্রবাসী পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটিতেও ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

২০০৯ সালে আলেম ও টেকনোক্র্যাটদের জন্য সংরক্ষিত আসনে তিনি পুনরায় সিনেটর নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সপ্তমবারের মতো কেন্দ্রীয় জমিয়ত আহলে হাদীস পাকিস্তানের আমির নির্বাচিত হন — যা দলীয় নেতৃত্বে তার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।

অধ্যাপক মির সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ধর্মীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি পাকিস্তানের ধর্মীয় কূটনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ইসলাম ও পাকিস্তানের জন্য অমূল্য অবদান রেখেছেন, তিনি ছিলেন একজন নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান নেতা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩