সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফলতিতে ২০২৫ সালের জুনিয়র (দাখিল অষ্টম শ্রেণি) বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনী চৌদ্দগ্রাম ফয়েজুন্নেছা মহিলা মাদরাসার কোমলমতি ১১ শিক্ষার্থী।
সোমবার পরীক্ষা দ্বিতীয় দিন কেন্দ্রের বাহিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা বলেন অধ্যক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী সহ সচেতন অভিভাবকবৃন্দ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সারাদেশে জুনিয়র (দাখিল অষ্টম শ্রেণির) বৃত্তি পরীক্ষা একযোগে শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এবার প্রায় সকল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শত শত শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় আর সবার সাথে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল পৌরসভাধিন ফয়েজুন্নেছা বালিকা মাদরাসার ১১ শিক্ষার্থীদেরও। কিন্তু গতকাল পরীক্ষা না দিয়ে কেন্দ্রে থেকে ফেরৎ আসে শিক্ষার্থীরা । বৃত্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ সংক্রান্ত অনলাইনে সাবমিট জনিত ভুলের কারণে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের চরম গাফলতির ফলে পরীক্ষা দিতে পারেনী। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিভাবকদের।
সকলের মত তাদের ও ইচ্ছে ছিল বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল এর পাশাপাশি মাদরাসা ও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। বিধিবাম তা আর হলো না। ১১ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্ছিত হলো।
এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগি সহ স্থানীয় সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফলতিতে আমরা ১১জন শিক্ষার্থী এবারের বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারিনাই। বিষয়নি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ বারবার চেষ্টা করেও আমাদেরকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে চৌদ্দগ্রাম ফয়েজুন্নেছা মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল তথ্য সাবমিট জনিত ভুলের কারণে ১১জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। গত ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর আমরা বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে পর্যন্ত গিয়েছি। কিন্তু অফিসিয়াল নিয়মের কারণে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেন সোমবার বলেন, এ বিষয়ে আমি আপনারদের (সাংবাদিকদের )মাধ্যমে জেনেছি। চৌদ্দগ্রাম ফয়েজুন্নেছা মহিলা মাদরাসা অধ্যক্ষ বা মাদরাসা কর্তৃপক্ষও আমাকে বিষয়টি জানায়নি। শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩