বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
রণবীর সরকার, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় মৌখিক তালাকের পর দ্বিতীয় প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেতে অনশনে বসেছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বাতিয়াগাঁও গ্রামের।
ওই গ্রামের সৈয়দ জামানের ছেলে মিজানুর রহমানের স্ত্রী সাবানা (২২) দাবি করছেন, তিনি প্রথম স্বামীকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের নামা বড়ডুবি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে জরিফ বাদশাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেই দাবিতে গত দুই দিন ধরে জরিফ বাদশার বাড়িতে অনশনে বসে রয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে মিজানুর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের হামেদ আলীর মেয়ে সাবানার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের আগ থেকেই সাবানার সঙ্গে জরিফ বাদশার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিয়ের পর মিজানুর রহমান ও সাবানা গাজীপুরের টঙ্গীতে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং সেখানেই একসঙ্গে বসবাস করতেন। এরই মধ্যে ২০২৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সাবানা মিজানুর রহমানকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে ভাড়া বাসা ছেড়ে চলে যান।
পরে মিজানুর রহমান আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও স্ত্রীর কোনো সন্ধান না পেয়ে একই মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১১১০) করেন। সাবানার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পুলিশও তার কোনো খোঁজ পায়নি।
ঘটনার নতুন মোড় নেয় চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর সোমবার। হঠাৎ করেই সাবানা নিজেকে জরিফ বাদশার স্ত্রী দাবি করে তার বাড়িতে হাজির হয়ে অনশনে বসেন। এতে বিপাকে পড়ে জরিফ বাদশার পরিবার।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩