নোমাইনুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:
রাঙামাটি জেলার ২৯৯ নং আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ধানের শীষের কান্ডারী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানকে বাঘাইছড়িতে গণসংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।
সভায় যোগদানের আগে প্রার্থী অ্যাড. দীপেন দেওয়ান জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বাঘাইছড়ি বড় হুজুরের মাজার জিয়ারত করেন। পরে তাঁরা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রয়াত শ্রেষ্ঠ সংগঠক মরহুম জসীমউদ্দিনের কবর জিয়ারত করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: ওমর আলী,
এবং সঞ্চালনা করেন বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমতুল্লাহ খাজা।
প্রধান অতিথি ছিলেন ২৯৯ নং আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল আলম।
এছাড়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো, সহ সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনির, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবু, সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান, সিঃযুগ্ম সম্পাদক আলী বাবর, রাঙামাটি পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রনেল দেওয়ান, নগর বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, জেলা তাতীদলের আহ্বায়ক মোঃশফি, জেলা কৃষক দলের সভাপতি অলোক প্রিয় রিন্টু,জেলা জাসাস সভাপতি কামাল হোসেন।
বক্তারা বলেন, “বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে একটি গোপন সংগঠন জামায়াতে ইসলাম গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতিতে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।”
তারা অভিযোগ করেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে “জান্নাতের টিকিট” দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বক্তারা স্পষ্ট করে বলেন, “যারা ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে, তারা কোনোভাবেই ইসলামী দল হতে পারে না।” এই ধরনের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি রোধে দলীয়ভাবে কঠোর নজরদারির আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ নং রাঙামাটি আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দিতে হলে, দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জনগণের দুয়ারে গিয়ে আস্থা অর্জন করতে হবে।
তারা বলেন, “এখন সময় ব্যক্তিগত মতভেদ ভুলে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার। জনগণের পাশে দাঁড়ানোই ধানের শীষের বিজয়ের নিশ্চয়তা।”
তারা আরও বলেন, “তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা জনগণের মুক্তি ও পরিবর্তনের নীলনকশা। এই কর্মসূচি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে, প্রান্তিক মানুষের কাছে বিএনপির লক্ষ্য ও অঙ্গীকার তুলে ধরতে হবে।”
প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান বলেন, “আমি রাজনীতি করি জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য। এই পাহাড়ের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নই আমার অঙ্গীকার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পাহাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।
সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।”
সভা শেষে নেতাকর্মীরা একযোগে শপথ নেন, ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে থাকার এবং যে কোনো বিভ্রান্তি বা ষড়যন্ত্রের জবাব রাজনৈতিকভাবে দেওয়ার।
বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, “বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় ফিরে এসে দেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।”