শাহারিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অবশেষে অন্ধকার কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছে নতুন হেলোজেন লাইটের আলোয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ দমনে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হচ্ছে উন্নতমানের লাইট।
শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এই স্থাপন কাজ, যা বর্তমানে চলমান। প্রথম দিনেই লাবণী বীচ এলাকায় বসানো হয় ৮টি হেলোজেন লাইট। পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান জানান, ধাপে ধাপে সৈকতের প্রতিটি পোলেই নতুন লাইট বসানো হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাবণী বীচের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ঝাউবাগান পর্যন্ত ৬টি লাইট ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। কাজের তত্ত্বাবধানে আছেন বীচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহাবুব আলম। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে লাবণী ও সীগাল পয়েন্টে কাজ সম্পন্ন হয়েছে, পরবর্তী ধাপে ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত লাইট বসানো হবে।
ইলেকট্রিশিয়ান নুরুল আবছার জানান, পূর্বের সংযোগগুলো দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ও নষ্ট হয়ে পড়েছিল। নতুনভাবে ৪টি ৭০০ ওয়াট ও ২টি ৪০০ ওয়াটের হেলোজেন লাইট বসানো হয়েছে।
২০১৭ সালে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত ১১৯টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছিল, যার খরচ হয়েছিল প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সময়ের ব্যবধানে এর মধ্যে ৭৮টি লাইট বিকল হয়ে যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিদুল আলম জানান, নতুন লাইটগুলো উন্নতমানের এবং মরিচা প্রতিরোধী। এগুলো জাহাজে ব্যবহৃত লাইটের মতো শক্তিশালী ও টেকসই। প্রথম ধাপে ২০টি লাইট স্থাপন করা হবে, পরবর্তীতে বাকি পোলগুলোতেও লাগানো হবে।
টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, “অন্ধকারেও আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। এখন সৈকতে স্থাপিত ৩৩টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ২৭টি বিচ এলাকায় কাজ করছে, যা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। নতুন লাইট বসানো হলে সৈকতের রাতের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনি নিরাপত্তাও আরও মজবুত হবে।”