নাজমুল হাসান, দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বদিউল আলম বদু নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বদিউল আলম বদু দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত সোয়া মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে দেবিদ্বার পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এর আগে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে বদিউল আলমের বড় ছেলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে এবং বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রী মহল বদিউল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাঁকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অপপ্রচারে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বদিউল আলম বদু বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে বিএনপির আদর্শে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একাধিক মামলার শিকার হয়েছি। ২০১৩ সালে বিএনপির ডাকা হরতালে ১৪ শতাধিক আসামির মধ্যে আমি ছিলাম ৪৯ নম্বরে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এখন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ভুয়া ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। আমি এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার পৌর বিএনপির সভাপতি ভিপি মাহফুজ বলেন, বদিউল আলম বদু দীর্ঘদিনের বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আমরা দলের প্রকৃত সৈনিক। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ বদিউল আলম বদুকে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ থেকে সরাতে পারবে না।